মুন্সিগঞ্জ, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)
এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদের। টানা পাঁচ বার ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এরপর নির্বাচিত হন উপজেলাতে। সেখানেও চেয়ারম্যান হিসেবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন টানা ৩ বার বিজয়ী হয়ে।
সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এরপর বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সেখানেও।
প্রায় ৩৫ বছরের কাছাকাছি সময় ধরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই এলাকায় জনসাধারণের বাড়তি আগ্রহ রয়েছে তাকে ঘিরে। এছাড়াও তিনি ৩০ বছর ধরে (টানা ছয়বার) সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে মহিউদ্দিন আহমেদের।
সিরাজদিখানের মালখানগর ইউনিয়নের কাজীরবাগ এলাকার মরহুম আলহাজ্জ আব্দুস সামাদ ও মরহুম আলহাজ্জ আমেনা খাতুন দম্পতির বড় ছেলে মহিউদ্দিন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক মহিউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সানজিদা আক্তার জোৎস্না পরপর ৩ বারের মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। যেখানে তিনি টানা পাঁচবারের চেয়ারম্যান ছিলেন।
মহিউদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ছোট ছেলে সাফোয়ান আহমেদ রিফাত মালখানগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য, মেঝো ভাই মালখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, সেজো ভাই জেলা তাতীলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ ১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মহিউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট। যা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবিরের চাইতে ৩৪ হাজার ৩২০ ভোট বেশি।
এই আসনে মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৬৩টি ভোট পড়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ মোট প্রার্থী ছিলেন ৯জন। আলোচিত প্রার্থী মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৭ হাজার ৯৩৩টি।