মুন্সিগঞ্জ, ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ডেস্ক রিপোর্ট (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে বাসার ভেতর থেকে এক নারী ও পুরুষের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা দুজনেই হিন্দু পরিবারের ও দুজনেরই আলাদা সংসার ছিলো।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) মুন্সিগঞ্জ শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের লাশ পাওয়া যায়। যে বাসা থেকে দুজনের লাশ পাওয়া গেছে সেখানে নিহত নারী ভাড়া থাকতেন। তার স্বামী তার সাথে থাকতেন না। তিনি কেরানীগঞ্জে থাকেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবৎ সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না।
পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে সবমহলে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে রাত ৯ টা’র দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্থ কোন পক্ষ থানায় এখনো অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ নিজের মত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
তিনি জানান, ‘ঢাকা থেকে সিআইডি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে। তারা অধিকতর তদন্ত করে বিস্তারিত জানাবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তির পরই বলা যাবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে।’
জানা যায়, আজ (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শহরের বাগমামুদালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে দিপ্রা মজুমদার জয় (২৮) এবং মিতু সরকার (২৬) নামে দুজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা পুলিশকে জানায় ভেতরে দুইজন আত্মহত্যা করেছে।
লাশ উদ্ধারের সময় দুজনের গলায় ফাস লাগানো অবস্থায় থাকলেও লাশ ঝুলানো অবস্থায় পাওয়া যায়নি। দিপ্রা মজুমদার প্যান্ট শার্ট ও জুতা পড়া অবস্থায় ছিলো। আর মিতু সরকার স্বাভাবিক জামা-কাপড় পড়া অবস্থায় ছিলো। এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত মিতু সরকারের পরিবার জানায়, মিতু সরকার বিবাহিত। তবে স্বামীর সাথে সম্পর্ক ভালো ছিলো না। অন্যদিকে দিপ্রা মজুমদারও বিবাহিত। দুইজনের মধ্যে কিছুদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো।
তাদের দাবি, মিতু সরকারের ভাড়া বাসায় কয়েকদিন আগে এসে গোপনে থাকছিলেন দিপ্রা মজুমদার। বিষয়টি তারা কেউই টের পাননি।
নিহত দিপ্রা মজুমদারের বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এলাকায় ও মিতু সরকারের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ফুলতলা নমকান্দি গ্রামে।