স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে টেস্ট পাইলিংয়ের কাজ পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো প্রকল্পের কাজে অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া নদী শাসনকাজে ডুবুরি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। চলতি নভেম্বরের যেকোনো দিন পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। ইতিমধ্যে সেতুর ২৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম আরো জানান, এ ড্রোনের সাহায্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ তদারকি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। ঠিকাদারের নিজস্ব উদ্যোগ ও খরচে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ার প্রকল্প সাইট অফিস থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয় কাজের অগ্রগতি। প্রমত্তা পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোতের কারণে মাঝনদীতে নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণ করা বেশ কঠিন। এ জন্য ড্রোনের সাহায্যে তদারকি করা হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফড়িং আকৃতির ড্রোনটিতে পাখা রয়েছে ৪টি। এতে বসানো হয়েছে হাই রেজুলেশন ক্যামেরা। যা দিয়ে নির্মাণকাজের স্থির ও ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করা যায়।
সাধারণত ড্রোন ব্যবহারে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুমোদন নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর-৯৯ ব্রিগেডের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলে জানান শফিকুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রস্তাবেই ড্রোন ব্যবহারের কথা জানায় চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। আর সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোর অনুমতি নিয়েই ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্মাণ শেষে এ ড্রোনটি ফেরত নিয়ে যাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।