২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ৩:৪৫
পদ্মা সেতুর ব্যয় বাড়ল ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা
খবরটি শেয়ার করুন:

পদ্মা সেতুর প্রকল্পের ব্যয় ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিলো ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও একনেক চেয়ারপার্সনের সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এইবার আরও নতুন নতুন অনেকগুলো কম্পোনেন্ট যুক্ত হয়েছে পদ্মা সেতুতে। নদী শাসনের জন্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূল সেতুর খরচও বেড়ে গেছে। তাছাড়া নতুন করে জমিও অধিগ্রহণ করতে হয়েছে।’

২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতু গাড়ি ও ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই সেতু পুরো জাতির স্বপ্নের প্রকল্প। এটি বাস্তবায়িত হলে মোট দেশজ আয়ের (জিডিপি) এক দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।’

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নে ২০০৭ সালে মূল প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। পরবর্তীতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে মতবিরোধের এক পর্যায়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন থেকে সরে আসে সরকার।

এর আগে ২০১১ সালে প্রথম দফা সংশোধন করে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা অনুমোদন দেয় একনেক।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রে দেখা যায়, ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল, যার সঙ্গে এখন ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা যুক্ত হচ্ছে।

চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় সেতুর মূল কাঠামো তৈরি করছে। নদী শাসনে সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে দিতে হচ্ছে ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

২০১১ সালের প্রথম প্রস্তাবে এ দুই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছিল যথাক্রমে ৯ হাজার ১৭২ কোটি ১৭ লাখ এবং ৫ হাজার ৩৬২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

এছাড়া জাজিরা ও মাওয়া সংযোগ সড়ক এবং সার্ভিস এলাকা নির্মাণেও ব্যয় বাড়ছে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ তিন অংশে ব্যয় হচ্ছে যথাক্রমে ১ হাজার ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ, ১৯৩ কোটি ৪০ লাখ ও ২০৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এ তিন অংশের কাজই যৌথভাবে করছে বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড ও মালয়েশিয়ার এইচসিএম কনস্ট্রাকশন।

error: দুঃখিত!