মুন্সিগঞ্জ, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
শুক্রবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিট। গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা আসলেন মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে।
এরপর দুই বোন পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত পায়ে হাটলেন। দেখলেন পদ্মা সেতুর শেষ মুহুর্তের কাজ। সেতুতে শেখ হাসিনা ছিলেন প্রায় দেড় ঘন্টা।
সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সেতুর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে নামেন তারা। জাজিরা প্রান্তে সেতুর সার্ভিস এরিয়াতে দুই বোন সকালের নাস্তা করেন। পরে আবার সেতু পার হয়ে ফিরে আসেন সড়ক পথে। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে তারা সেতু এলাকা পরিদর্শন শেষে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা হন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।
এসময় মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজি নাহিদ রসূল ও মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজি নাহিদ রসূল ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, ‘এটি প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক ট্যুর ছিলো। পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখে তিনি অসম্ভব খুশি হয়েছেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী অফহোয়াইট ও পার্পেল কালার শাড়ি পড়েছিলেন।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। এসময় তাকে বেশ হাসি-খুশি দেখা গেছে।’
ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে নিচ দিয়ে রেলপথ ও ওপর দিয়ে সড়কপথ থাকবে। সেতুর কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের ৩০ জুন যান চলাচলের জন্য উদ্বোধনের কথা রয়েছে।