লৌহজংয়ের পদ্মাপাড়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমন কে ঘিড়ে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। সেখানে এখন চলছে মঞ্চ সাজানোর কাজ।
পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন এবং সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পসহ কয়েকটি কাজের উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৩ অক্টোবর মুন্সিগঞ্জ আসছেন।
এদিন এই মঞ্চেই একটি সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। সেই অনুযায়ী সকল ধরনের প্রস্তুতি এখন শেষের পথে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সফল করতে আজ সভাস্থল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মাওয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া প্রান্তে ১৩০০ মিটার নদীতীর রক্ষা কাজের উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া ১০ হাজার ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজের অগ্রগতিও পরিদর্শন করবেন। ইতিমধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের কাজের ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়ে গেছে বলে প্রকল্পের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গণি তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক রশিদ শিকদার প্রমুখ।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০০১ সালের ১২ জুলাই মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তন হলে ৯ বছর কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর ফের সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঋণ চুক্তি বাতিল করে। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ২০১৩ সালের ৪ মে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।