আপনি এই লেখাটি এই মুহুর্তে পড়ছেন! এর মানে হচ্ছে আপনি ‘আমার বিক্রমপুর’ এর সাথে কোন না কোন ভাবেই আছেন। আছেন মানে সঙ্গী হয়ে গেলেন আমাদের। ধন্যবাদ আপনাকে।
‘আমার বিক্রমপুর ডট কম’ এর পথচলা’য় আমাদের কাছে আপনাদের কোনরুপ দায়বদ্ধতা না থাকলেও আপনাদের কাছে আমাদের অনেক দায়বদ্ধতা আছে। আর এই দায়বদ্ধতা’র মাঝে দায়িত্বও আছে। দায়িত্বটা হচ্ছে সেরাটা দেয়ার। সেরাটা দিতে গিয়ে যত বিপত্তি আসবে, যত বাধা আসবে, যত হুমকি-ধামকি আসবে তার সবের জন্যই আমরা প্রস্তুত হয়ে নামলাম। শুধু সঙ্গী হওয়ার দায়ভারটুকু আপনাদের নিতে হচ্ছে।
বিক্রমপুর-মুন্সীগঞ্জে স্থানীয় পত্রিকার যে প্রেক্ষাপট তাতে অনলাইন পত্রিকার প্রথম প্রজন্মে নতুন কিছু দেয়ার কথা সহজেই বলা যায় কিন্তু দেয়া যায় না। না দেয়া যাওয়ার প্রধান অন্তরায় হচ্ছে উদ্যোক্তাদের অনলাইনের প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকা। সাংবাদিকতা করা যায়, কাগজে লিখে ছাপাখানায় পাঠানো যায় সেই লেখা ছাপাও হয় কিন্তু অনলাইনে নিউজ আপ করতে হলে কম্পিউটার ব্যাবহারে দক্ষতা অর্জন করতে হয়। নিদির্ষ্ট কিছু কিওয়ার্ড স্মরন রাখতে হয়। বিভিন্ন কলাকৌশল আয়ত্ব করতে হয়। বিশেষ কিছু সফটওয়্যারের ব্যাবহার শিখতে হয়।
এর কিছু না করেই শুধুমাত্র পূর্ব-সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থেকে আপনি অনলাইন পত্রিকা চালানো শুরু করলেন মানে হচ্ছে আপনি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলেন। আর বাকিরা দেখে হাসলো। এখন আপনি যাদের কাছে শুরুতে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সেরাটা দেয়ার তারাও প্রতারিত হলো। প্রতারনা করে কতদিন টিকবেন?
আমরা ‘আমার বিক্রমপুর টিম’ আপনাদের আশ্বস্ত করছি সেরাটা দেয়ার, এই সেরাটা দেয়ার দাবিটা উড়ে আসেনি। আমরা শুরুতেই আমাদের কাজ শুরু করেছি সারা বাংলাদেশে পরিচিত দক্ষ কয়েকজন প্রযুক্তিবীদ এর সমন্বয়ে। আমাদের পুরো টিম টানা ৭দিন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষন নিয়েছে তার কাছ থেকে। আর এখন ২৪ ঘন্টা তারই তত্ত্বাবধানে থাকছে আমার বিক্রমপুর। মানে আপনারাও।
আমার বিক্রমপুর ওয়েবসাইটটি সাজাতে গিয়েও আমরা একটু ভিন্নতা রাখতে চেষ্টা করেছি,পত্রিকার প্রতিপাদ্যয় আমরা সৃজনশীল একটি স্লোগান ব্যাবহার করেছি। এটি করতে গিয়েও আমরা পাঠকের অথাৎ আপনাদের ভাবনার বিষয়টি বারবার চিন্তায় রেখেছি।
আমার বিক্রমপুর এর মাষ্টারহেড বানানোর ক্ষেত্রেও আমরা সর্বোচ্চ ভেবেছি। আমরা কম্পিউটারের পরিচিত ফন্ট ব্যাবহার না করে ষোলআনা আর্টের শিল্পী ইউনুস কে দিয়ে নিজস্ব ফন্ট বানিয়ে ব্যাবহার করেছি। প্রচারে অন্যতম সহায়ক ষ্টিকারে বৈচিত্র্য আনতে শহরের পরিচিত গ্রাফিক্স ডিজাইনার নাজিব মোহাম্মাদুল্লাহ’র সহায়তা নিয়েছি। ডিজাইনের পরে প্রিন্টেও যাতে সর্বাত্মক মান বজায় থাকে সেদিকেও বিশেষ নজর রেখেছি।
আমরা প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছিলাম গত ২২জুলাই। আর আজ ১১আগষ্ট থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলাম। তবে গত কয়েকদিনে আপনাদের যতটুকুই সাড়া পেয়েছি তা সত্যিই অভাবনীয়।
ভূলের উর্ধ্বে আমরা নই, আপনার চোখে যখন যাই ভূল মনে হবে সেটাই আমাদের জানাবেন। আমরা কোন ব্যাক্তি বিশেষের হতে চাইনা, আমরা সকলের হতে চাই। আমরা নিজেরাই নিজেদের ভালোটাকে বলতে চাইনা, আমরা আপনাদেও চোখ দিয়ে আমাদের ভালোটা দেখতে চাই।
‘পাঠকের মুখোমুখি’ নামে আমরা বিশেষ একটি বিভাগ রেখেছি, যেখানে পাঠকের যে কোন নিজস্ব কথা/অভিমত সরাসরি উঠে আসবে। এই বিভাগটিতে পাঠকের সবরকম লেখা কোনরকম সংশোধিত না করেই প্রকাশ করা হবে। আমাদের ই-মেইল (bikrampuramar@gmail.com) ব্যাবহার করে লেখা পাঠাতে হবে।
মুন্সীগঞ্জের অনলাইন পত্রিকার ধারাবাহিকতায় এই প্রথম আমরা আমাদের যে কোন প্রতিবেদন বা ফিচারে পাঠককে সরাসরি মন্তব্য জানানোর সুযোগ করে দিয়েছি। যে কোন পাঠক এই সুবিধাটি নিতে পারবে।
পরিশেষে বলতে চাই-‘জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো’