নয় ঘন্টা পর শিমুলিয়া (মাওয়া) কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে রাত দেড়টা থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জোয়ার হলে ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়।
এতে উভয় পাড়ে ৫ শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এই রুটে বিপর্যয় চলছে গত প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে। এতে দক্ষিাণঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দুর্গতি বেড়েছে।
এদিকে নাব্য সঙ্কটরোধে ড্রেজিং করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ফেরি চলার জন্য চ্যানেলে পানির গভীরতা প্রয়োজন সাড়ে ৭ ফুট। কিন্তু পানির গভীরতা এখন সর্বনিন্ম সোয়া ৬ ফুট। রাত দেড়টায় সর্বশেষ শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি কেতকী গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছে। এর আগে ফরিদপুরও গন্তব্যে পৌঁছায়। তবে লৌহজং টার্নিং থেকে রাতে ফিরে আসে ফেরি ক্যামেলিয়া ও রায়পুরা । এরপরই চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ম্যানেজার গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, নাব্যতা সংকটের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ৪টি রো রো ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। আর চলাচল করছিল মাঝারি ও ছোট বাকী ১৪টি ফেরি । তাও মাঝে মাঝে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তাই দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমলিয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার মো শাহজাহান জানান, সাধারণত রো রো ফেরি চলাচলের জন্য সর্বনিন্ম পানির প্রয়োজন সাড়ে ৭ ফুট । কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে জোয়ারের সময় পদ্মার লৌহজং টানিং পয়েন্টের ওই এলাকায় প্রায় একশ’ ফুট এলাকা জুড়ে পানি এখন সর্বনিন্ম সোয়া ৬ ফুট। কে টাইপ ফেরিগুলো পদ্মার ডুবোচরে ঠেকে ঠেকে চলছিল এখন তাও বন্ধ। এতে ফেরির প্রপেলারসহ ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক এসএম আজগর আলী জানিয়েছেন, নাব্যতা সংকট দূর করতে গত ঈদের দুই দিন পর হতে পদ্মা নদীর লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং করে চলেছে। বর্তমানে সেখানে তিনটি ড্রেজার মাটি কেটে চ্যানেলে পানির গভীরতা বৃদ্ধির কাজ করছে। কিন্তু পদ্মায় স্রোতের সাথে পলির কারণে খননকৃত চ্যানেলগুলো আবারো ভরে যাচ্ছে। এতে ড্রেজিং কাজ এগুতে পারছেনা।
শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করলেও বর্তমানে চলাচল করছে ১৪টি। এর মধ্যে ৫ টি কে টাইপ ফেরি কোনমতে চলাচল করছে। কেবল ছোট আকৃতির ফেরিগুলো এখন ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচল করছে। কিন্তু পানির গভীরতা কমে গেলে এসব ফেরি চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।