মুন্সিগঞ্জ, ৪ এপ্রিল, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা এম এল সাবিত আল হাসান নামের ডুবে যাওয়া লঞ্চটি সকাল ১০ টা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে লঞ্চটি গতকাল রাতেই শনাক্ত করা হয়েছে। নদীর তলদেশে সেটি উপুর হয়ে আছে। ধারনা করা হচ্ছে, লঞ্চের ভেতরে আরও অনেক লাশ আটকে আছে।
গতকাল রোববার ( ৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এসকে-৩ নামে বড় আকৃতির একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। লঞ্চটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলো তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ সদরের মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), সদরের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮) ও অজ্ঞাত নারী (৩৪)।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। এ ঘটনায় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠে যান। তবে অনেকে নিখোঁজ ছিলেন।
ইউএনও আরও বলেন, মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে হস্তান্তর করা হয়েছে স্বজনদের কাছে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরীকে আহবায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের প্রতিনিধি এবং সদরের ইউএনওকে রাখা হয়েছে।