মুন্সিগঞ্জ, ৮ মার্চ, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থরা প্রশাসনের কাছে বার বার সহযোগিতা চেয়েও না পেয়ে নিজেরাই ভাঙ্গন ঠেকাতে বাশেঁর বেড়া দিয়ে ভাঙ্গণ ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছেন।
সরেজমিনে মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বাঁশ দিয়ে বেড়া নির্মাণের কাজ করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, ঐ এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে বিগত কয়েক বছর যাবত ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পরেছে, উত্তর বেতকা পশ্চিমপাড়া নদীর পার জামে মসজিদসহ স্থানীয় বাড়িঘর।
শুস্ক মৌসুমে হালকা ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী বাঁশ-খুটি দিয়ে অন্তত মসজিদটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যে কোন মুহুর্তে মসজিদটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যে ওই এলাকার মিজান খান, সুজন খান, নুর হোসেন, আক্কাশ আলী, আজিজ খা, রফিক সেখের বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অদূরেই রয়েছে বেতকা পশ্চিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ওই অঞ্চলের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি। শুস্ক মৌসুমে যদি ভাঙ্গন রোধ করা না হয় আসছে বর্ষায় পানির স্রোতে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাস্তাটিও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন। তাই তারা ভাঙ্গনরোধে অচিরেই ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর দাবী জানিয়েছেন।
দেখা গেছে, ঐ অঞ্চলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীটি এখনো পানিতে দু-কূল ভরে উঠেনি। কূলের অনেক নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কিছুটা স্রোত রয়েছে। আর এই স্রোতেই হালকা ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন জানান, ইতিমধ্যে আমাদের মসজিদের প্রসাবখানাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ওযু খানাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা দুবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অফিসে আবেদন করার পরও তাদের কোন উদ্যোগ আমরা দেখছি না।
এ ব্যাপারে বেতকা ইউপি চেয়ারম্যান আলম শিকদার বাচ্চু জানান, আমি বিভিন্ন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরে তারা পরিদর্শন করেন। কিন্তু তারপরেও তারা কোন ব্যাবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। খোজঁ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।