মুন্সিগঞ্জ, ১ জুন, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুরে ধর্ষণের স্বীকার ১৩ বছর বয়সী কিশোরীর ভাই মামলার মূল অভিযুক্তের মামা ও আত্মীয়ের মারধর ও অপমানে কিটনাশক পানে মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১ জুন) ভোররাতে মিডফোর্ট হাসপাতালে সে মারা যায়।
মৃত পারভেজ (১৮) টংগিবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের পূর্ব পাইকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন খান এর ছেলে। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তারা বাবা মহিউদ্দিন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের স্বীকার অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বাবা এ ঘটনায় টংগিবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মুল অভিযুক্ত আটক হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। সেই সূত্র ধরে তারা কিশোরীর ভাইকে মারধর করেন ও পরিবারকে নানা অপবাদ দেন ধর্ষকের পরিবারের সদস্যরা।
পারভেজের বাবা মহিউদ্দিন জানান, গত ২০ দিন আগে ধর্ষণের স্বীকার হয়ে আমার মেয়ে সন্তান প্রসব করে। গত শনিবার (২৯ মে) রাতে আমার ছেলেকে তুচ্ছ ঘটনায় ধর্ষক ছেলে সামি (১৮) এর আপন মামা বাচ্চু কোতয়াল (৫৫), হাসান (৫০) ও হাসানের স্ত্রী অজ্ঞাত (৩৫) ব্যাপক মারধর করে ও অপমান করে। পরদিন রোববার (৩০ মে) আমার ছেলে অপমান সইতে না পেরে কিটনাশক পান করে। আমরা তাকে দ্রুত মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই গতকাল রাত ৪ টা’র দিকে আমার ছেলে মারা যায়৷ আমি এ ঘটনার কঠিন শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে টংগিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, ধর্ষণের বিষয়ে একটি মামলা আদালতে চলমান আছে। মুল অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। কিটনাশক পানে মৃত্যুর ঘটনাটি পরিবার সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।