১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ৪:১৩
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন; মুন্সিগঞ্জের ৩টি আসনে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৬ নভেম্বর ২০২৩, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৪৩ দিন। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক আওয়ামী লীগ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

রোববার বেলা ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মুন্সিগঞ্জের ৩টি আসনের মধ্যে দুইটি আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রার্থীদের অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। একটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ।

মুন্সিগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ ১- মহিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ ২- সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ও মুন্সিগঞ্জ ৩- মৃণাল কান্তি দাস।

মুন্সিগঞ্জের ৩ টি আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছিলেন সর্বমোট ৩৮ জন। এর বাইরেও দুই-একজন থাকতে পারেন। মুন্সিগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলা, ৬৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৯৪ হাজার ২৫৫জন ও মহিলা ভোটার ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪১ জন। পুরো আসনটিতে একজন মাত্র তৃতীয় লিঙের ভোটার রয়েছেন।

তিনি মুন্সিগঞ্জ ১ আসনের অধীনস্ত শ্রীনগর উপজেলার ভোটার। সিরাজদিখান-শ্রীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সিগঞ্জ ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছিলেন ১৫ জন, টংগিবাড়ী-লৌহজং উপজেলা নিয়ে গঠিত ২ আসন থেকে ১১ জন ও মুন্সিগঞ্জ সদর-গজারিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ৩ আসন থেকে চেয়েছিছেন ১২ জন।

কোন আসনে কে?

মুন্সিগঞ্জ ১ – মহিউদ্দিন আহমেদ

এবার মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জেলায় প্রার্থী নির্বাচনে এটাই ছিলো এবারের চমক। নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদকে।

তবে এই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে পারে আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, দুই-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে।

মুন্সিগঞ্জ ১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মিত্র বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আসনটি এর আগের দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের দখলেই ছিলো। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে রাজনীতির মাঠে হাজির হন মাহি। মাহির দল বিকল্পধারা প্রথমে বিএনপির সাথে যুক্তফ্রন্টে গেলেও পরে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের জোটে।

বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিপরীতে ৬৫.০৯% শতাংশ ভোট পেয়ে বিকল্প ধারা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাহি বি চৌধুরী। ২০০২ সালে মাহির পিতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে আসনটি ছেড়ে দেন। এরপর উপ-নির্বাচনে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাহি। কিন্তু বিএনপি বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করলে মাহিও সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেন। দুজনে মিলে গঠন করেন বিকল্প ধারা।

২০০৪ সালে আসনটিতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিএনপির প্রার্থী মমিন আলীকে হারিয়ে বিজয়ী হন মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

এর আগে ১৯৯১, ১৯৯৬ ফেব্রুয়ারি (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন), ১৯৯৬ জুন (সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন) ২০০১ ও ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া উপ-নির্বাচনে আসনটি বিএনপির দখলে ছিলো। এই আসনটিতে ২০০৮ সালে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর মোহাম্মদকে হারিয়ে ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুকুমার রঞ্জন ঘোষ।

মুন্সিগঞ্জ ১ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১৫ জন। এরা হলেন- সিরাজদীখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক উপ কমিটির সাবেক সদস্য গোলাম কিবরিয়া শিমুল, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ শ্যামল গোস্বামী, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মাকসুদ আলম ডাবলু, সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শেখ আব্দুল করিম, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম, কাশেম শেখ, ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, হারুন-উর-রশিদ (জাপান)।

মুন্সিগঞ্জ ২- সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি

মুন্সিগঞ্জ ২ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেনি আওয়ামী লীগ। শক্ত অবস্থানে থাকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলিকে ষষ্ঠবারের মত এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

২০০৮ সালের প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহাকে হারিয়ে মুন্সিগঞ্জ ২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও শক্ত কোন প্রতীদ্বন্দী ছাড়াই আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হন এমিলি। টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় এলাকায় বাড়তি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছেন এমিলি। তাছাড়া বিএনপি বা নিজ দল থেকে শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দীর মোকাবিলা করতে হয়নি এমিলিকে।

সবশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে হলেও শেষ পর্যন্ত এমিলিকেই বেছে নেয় আওয়ামী লীগ। ২০২০ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মাহবুবে আলম মারা গেলে অনেকটা নির্ভার হয়ে যান এমিলি। এলাকায় তার প্রতিদ্বন্দী একেবারেই শূণ্য হয়ে পড়ে। বর্তমানেও নিজ দল, বিএনপি বা অনান্য দল থেকে শক্ত প্রতিদ্বন্দী নেই এমিলির।

এমিলি প্রথম ১৯৯৬ সালে সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহার সাথে ৭০.৩৯% শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।

২০০৮ সালে মোট ভোটের ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এমিলি। ২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন আহমেদকে হারিয়ে প্রায় ৯৪ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।

এর আগে ১৯৯১, ১৯৯৬ ফেব্রুয়ারি (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন), ১৯৯৬ জুন (সপ্তম) জাতীয় সংসদ নির্বাচন) ও ২০০১ সালে আসনটি বিএনপির দখলে ছিলো।

মুন্সিগঞ্জ ২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১১ জন। এরা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনা, টংগিবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু ইউসুফ ফকির, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঢালী মোয়াজ্জেম হোসেন, লৌহজং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলী মোল্লা লিংকন, সোনারং-টংগিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝি, হেদায়েতুল ইসলাম বাদল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য মিজান সরদার, মহিলা নেত্রী রানু আক্তার।

মুন্সিগঞ্জ ৩- মৃণাল কান্তি দাস

মৃণাল কান্তি দাস মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে টানা তৃতীয়বারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বর্তমানে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক।

দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি থাকলেও বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত আসনটিতে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছেন ‘ক্লিন ইমেজের’ মৃণাল কান্তি দাস। অনিয়ম-দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের বিপরীতে ৭৫.২৩% শতাংশ ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মৃণাল কান্তি দাস।

এর আগে, ২০০৮ সালে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী এম শামসুল ইসলামকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এম ইদ্রিস আলী। ১৯৯১, ১৯৯৬ ফেব্রুয়ারি (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন), ১৯৯৬ জুন (সপ্তম) জাতীয় সংসদ নির্বাচন) ও ২০০১ সালে আসনটি বিএনপির দখলে ছিলো।

মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১২ জন। এরা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসারউদ্দিন ভূইয়া, মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাহিন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন তোফাজ্জল, সাবেক সংসদ সদস্য ইদ্রিস আলী, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য আসাদুজ্জামান সুমন, সহ সম্পাদক আবদুর রহমান জীবন ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সালমা হাই টুনি।

error: দুঃখিত!