১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | সন্ধ্যা ৭:৪৭
দৃশ্য কর্তনের পর আবার সেন্সরে যাচ্ছে মান্নার শেষ ছবি
খবরটি শেয়ার করুন:

২০০৫ সালে শুরু হয় চিত্রনায়ক মান্না অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র ‘লীলামন্থন’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। ছবিটির শুটিং চলাকালীন ২০০৮ সালে মারা যান তখনকার তুমুল জনপ্রিয় নায়ক মান্না। তখন ছবিটির প্রায় ১৫ ভাগ কাজ বাকি ছিলো। ছবিটি পড়ে যায় অথৈ জলে। এরপর পথ না দেখে মান্নার ডামি শিল্পী দিয়ে ছবিটির শুটিং শেষ করতে বাধ্য হোন পরিচালক।

পরিচালক হয়তো ভেবেছিলেন এই বুঝি তার কপাল ফিরেছে। কিন্তু না, পরিচালক ছিলেন ইঁদুর কপালে। ছবিটি পড়ে যায় সেন্সরের যাঁতাকলে। মুক্তিযুদ্ধ্ব ও যৌনপল্লীর গল্প নিয়ে ছবিটি নির্মিত হওয়ায় ছাড়পত্রে আপত্তি জানায় সেন্সর বোর্ডের কর্মকর্তারা। এরপর তাদের দাবি মাথা পেতে নিলে সেন্সর বোর্ড ছবিটি পাঠায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদে।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুমতি মিললেই হয়তো ছবিটি ২-৩ বছর আগেই দর্শক পর্দায় দেখতে পেতেন। কিন্তু সেন্সর বোর্ডের পর ছবিটি নিয়ে আবার আপত্তি জানায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। ছবিটি পড়ে উভয় সংকটে। ৪ বছর ধরে ‘লীলামন্থন’ পেরুতে পারেনি সেন্সর ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের গণ্ডি।

পরিচালক জানান, ‘২০১১ সালে সেন্সরে ছবিটি জমা দেয়া হলে সেন্সর ছবিটির বেশ কিছু দৃশ্য ও মান্নার চরিত্র নিয়ে আপত্তি তোলে। পড়ে সেন্সর বোর্ড থেকে বলা হয়, এটি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র সেক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুমতি লাগবে। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ছবিটি জমা দেয়া হলে তারা গড়িমসি করে চার বছর ধরে ছবিটি মুক্তি দেবার অনুমতি দিচ্ছে না। কিছুদিন আগে আলাপ আলোচনা সফল হয়েছে। বিশেষ যে দৃশ্যগুলোতে তারা আপত্তি জানিয়েছেন, সেই দৃশ্যগুলো কর্তন করে চলতি সপ্তাহে আবার সেন্সরে ছবিটি জমা দেবো’।

ছবির গল্পে মান্না জন্ম নেন যৌনপল্লীতে। জন্মের কিছুদিন পর তার মা মারা যান। এরপর তিনি যৌনপল্লীর একজন মহিলার কাছে বড় হোন। বড় হবার পর মান্না তার জন্ম পরিচয় খুঁজে ফেরেন। ঘটনাচক্রে যৌনপল্লীর মেয়েদের পক্ষে কথা বলায় মান্নাকে জেলে যেতে হয়। জেলখানায় শাস্তি ভোগ করার পর বাইরে এলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। এরপর তিনি অংশ নেন যুদ্ধে। এমনি গল্প নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ‘লীলামন্থন’।

এতে মান্নার সঙ্গে আরো অভিনয় করেছেন মৌসুমী, পপি, বাপ্পারাজ, দিঘি, সাচ্চু, মিশা সওদাগর, নাছিমা প্রমুখ। এই ছবিটি বড়পর্দায় মুক্তি পেলে এটিই হবে মান্না অভিনীত শেষ ছবি।

error: দুঃখিত!