মুন্সিগঞ্জ, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মেঝো ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বড় ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
গেল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর জেলেপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সাথী বেগমকে (২৩) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টংগিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সাথী বেগমের বাবা আমীর হোসেন বাদী হয়ে টংগিবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত সাথী বেগমের স্বামী মো. বশির অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই সেলিম ও তার স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে আমার স্ত্রীকে গালাগালি এবং গায়ে হাত তুলতো। কিছুদিন আগে আমি প্রতিবাদ করায় তারা আমার নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দেয়। পরে আমি গত বৃহস্পতিবার জামিন হয়ে বাসায় যাই। রাত ৯টার দিকে বাজার থেকে নাস্তা আনতে গেলে আমার বড় ভাই সেলিম মিঝি, তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম ও ছোটভাই হৃদয় মিঝি আমার স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায় জীবন বাঁচাতে সে রাস্তায় দৌড়াতে থাকে। এসময় আমি বাজার থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। রাস্তা থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে তারা বাঁধা দেয়। পরে কোনরকমে আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, মারধরের কারণে আমার স্ত্রীর শরীরের গোপন অংশের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের জমাট বেঁধে আছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় প্রতিবেশিরা জানান, বশিরের সাথে তার পরিবারের সম্পর্ক তেমন ভালো নয়। প্রায় প্রতিদিন তাদের বাড়িতে ঝগড়াঝাটি হয়। এর আগেও বশির বিয়ে করেছিলো কিন্তু বশিরের নেশাগ্রস্ত ভাই সেলিম ও তার স্ত্রী এবং তার মা ছোটখাটো বিষয়ে জ্বালাতন করতো। পরে সেই স্ত্রী বশিরকে ছেড়ে চলে যায়। এখন আবারও বিয়ে করেছে কিন্তু ভাই, ভাবি ও মা অশান্তি এবং ঝগড়াঝাটি শুরু করছে। গত বৃহস্পতিবার মারধর করার পর আহত সাথীকে হাসপাতালে নিতে বাঁধা দেন। এলাকার মানুষ এসে থামালে পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত সেলিম মিঝি বলেন, আমরা কিছুই করি নাই। বশির এবং ওর স্ত্রী কতদিন এমন করবে দেখে নিবো বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সে ফোন ধরেননি ।
এ বিষয়ে টংগিবাড়ী থানার ওসি রাজিব খান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’