১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | সকাল ১১:৫০
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য নৌকায় ভোট দিন- মৃণাল কান্তি দাস
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় গণমানুষের জীবনমানের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ গঠনে এবং দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন।

আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার আধারা ও গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগের সময় ও মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আধারা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সোহরাব হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন সরকার, মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আক্তার উজ্জামান রাজিব, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুন্সিগঞ্জ জেলা কমান্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমি রাজন, আধারা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বিল্লাল বাগ, মজিবর রহমান, ইসলাম হোসেন সম্রাট, টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরায়েজী, ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মো. লিটন, হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু, বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জামান প্রমুখ।

মৃণাল কান্তি দাস বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বিশেষ বিশেষ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছেন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প, ভাতা ও প্রণোদনার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে অর্থনীতির মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার রাজনীতি। দারিদ্র্য বিমোচনকে অগ্রাধিকার দিয়ে টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে নিরন্তন কর্মপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গত ১৫ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক সাফল্য ও অগ্রগতির প্রতীক। নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, মুক্তি পেয়েছে। ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি পথে দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে চলেছে। তাই স্বাধীনতা-মুক্তি শান্তি-উন্নয়ন অগ্রগতি-সমৃদ্ধি সাফল্য ও অগ্রগতির প্রতীক নৌকায় ভোট দিন।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে মুন্সিগঞ্জ ও গজারিয়ার উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। এ এলাকা রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ দেশের সড়ক ও নৌ-পথের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকলেও এই এলাকাটি ছিল উন্নয়ন অবহেলিত। স্কুল-কলেজ রাস্তা-ঘাট ব্রীজ-কালভার্ট সেভাবে নির্মিত ছিল। গত ১০ বছরে এই এলাকার রাস্তা-ঘাট ব্রীজ-কালভার্ট স্কুল-কলেজের ভবন নির্মাণসহ অবকাঠামোগত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলও যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। আর যেসকল কাজ এখনও অসমাপ্ত রয়েছে তার অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ অচিরেই শুরু হবে। মুন্সিগঞ্জের মানুষ আমাকে আরেকবার সুযোগ দিলে এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে উজাড় করে কাজ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

error: দুঃখিত!