মুন্সিগঞ্জ, ৯ মার্চ, ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
রাজধানীর গুলিস্তানে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার আওলাদ হোসেন মুসা (৩৭) গতকাল বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে মারা গেছেন।
মৃত আওলাদ বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মৃত জামান শফিকের ছেলে এবং মঙ্গলবার একই বিস্ফোরণে নিহত আবু জাফর সিদ্দিক তারেকের চাচাতো ভাই।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস.এম. আইয়ুব জানান, হাই-ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটায় নিহতের লাশ নিয়ে আসা হয় তার নিজ বাড়ি বালুয়াকান্দি (পশ্চিমপাড়া) গ্রামে। সকাল ৯ টায় বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আওলাদের জানাজা শেষে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় চাচাতো ভাই তারেকের কবরের পাশে লাশ দাফন করা হয়।
নিহত আওলাদ হোসেন মুসা পেশায় একজন ফার্মেসি ও হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত আবু জাফর সিদ্দিক তারেক (৩৪) এর চাচাতো ভাই। বয়সে আওলাদ হোসেন মুসা তারেকের তিন বছরের বড়। স্যানেটারি মালামাল কেনার জন্য তারেক তাকে সাথে নিয়ে ক্যাফে কুইন ভবনে গিয়েছিল। এক বছর আগে বিয়ে করে আওলাদ। তিন ভাই, তিন বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিল আওলাদ হোসেন মুসা।
এদিকে একই গ্রামের দুই তরুণের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকে মুহ্যমান গোটা গ্রাম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ।