ডেস্ক রিপোর্টঃ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ৩০টি স্পটে চলছে নিরাপদে মাদক ব্যবসা সহ সেবন। এখানে মাদক সেবন ও ব্যবসায় ভয় নেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের সম্ভবনাও কম। বলা যায় মাদকের নিরাপদ অভয়ারন্য। এ মাদক নিয়ন্ত্রন করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। উপজেলাটি পদ্মা নদীর পাড়ে হওয়ায় এখান থেকে মাদক চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায়। এখানে পাওয়া যায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ, সি-ডিজেটিক ইঞ্জেকশন ও শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য।
স্থানীয়রা জানান- আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকলেও মাদক নিয়ন্ত্রন সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে প্রায় ৩০টি মাদকের হাট বসেছে। সাধারন মানুষ মাদক ব্যবসায়িদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। মাদকের সহজ প্রাপ্যতার কারনে এখানে উঠতি বয়সীরা মাদকে আসক্ত হয়ে পরায় স্কুল কলেজ গুলোর আশে পাশেও মাদক সেবনের আসর জমে উঠছে। এই মাদকের টাকার জন্য বাড়ছে চুরির ঘটনা। উপজেলার ধীপুর গ্রামের দেওয়ান বাড়ীতে ঘুরে দেখা যায় সেখানে প্রায় শতকরা ৬০ জনের বেশি লোক মাদকাশক্ত।
উপজেলার প্রতিটি বাজারে রাস্তার মোরের ঔষধের দোকান কিংবা মুদি দোকান সহ আনাচে কানাচে অহরহ দেদার বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক কথিত সিরাপ। বিভিন্ন বাহারি নামের এই সকল সিরাপ ভেন গাড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে পাইকারী বিক্রয় করলেও দেখার কেউ নেই। খোজ নিয়ে জানা গেছে, এই ভেজাল যৌন উত্তেজন সিরাপ পান করে উপজেলার নগরকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর ও বুদু নামের ২জনের মৃত্যু হলেও থেমে নেই বিক্রি।
দোকানদাররা জানান স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই ভেজাল সিরাপ ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, মাদক নিয়ন্ত্রনে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।