২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শনিবার | দুপুর ১:৩৯
টংগিবাড়িতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৩ মার্চ, ২০২২, আপন সরদার, টংগিবাড়ী (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়িতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অধিকাংশ হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে জাটকা।

উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ করা নিষিদ্ধ হলেও বন্ধ হচ্ছে না।

সরেজমিনে হাসাইল মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিদিন ভোর ৫ঃ৩০ মিনিট থেকেই বেশির ভাগ আড়তই এই জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ছোট জাটকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকা আর বড় জাটকা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৩০০ টাকা হালি।

সূত্র জানিয়েছেন, চাঁদপুরের মেঘনা, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের পদ্মা নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা জাটকা ধরে আড়ৎ ও হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রলার দিয়ে প্রতিনিয়ত ইলিশের পাশাপাশি জাটকা নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার হাসাইল, কামারখাড়া পাচগাও,বালিগাও,আলদি বাজারসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাট-বাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ আবার গ্রামে গিয়ে ফেরি করে জাটকা বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই জাটকা শিকার করতে হয়।

হাসাইল আড়তের এক জাটকা ক্রেতা বলেন, বড় ইলিশ মাছের দাম বেশি তাই কমদামে জাটকা ইলিশ কিনেছি। নিয়মিতই এই বাজারে জাটকা পাওয়া যায়। উপার্জন কম তাই জাটকা কিনছি। প্রশাসন যদি জাটকা ধরা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসাম্মৎ নিগার সুলতানা বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের জাটকা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি বাজারে ইতিমধ্যে প্রচার প্রচারণার কাজ শেষ হয়েছে। তবে জনবল সংকটের কারণে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা সম্ভব না হলেও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে জাটকা নিধন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি।

ফেইসবুকে আমরা
ইউটিউবে আমরা
error: দুঃখিত!