১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | দুপুর ২:৩৮
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু ১ নভেম্বর
খবরটি শেয়ার করুন:

চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। অষ্টম শ্রেণির প্রায় ২২ লাখ শিক্ষার্থী এবার এ পরীক্ষায় বসবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরুর এই তারিখ ঠিক করা হয়। তবে পরীক্ষাসূচি (রুটিন) এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।

গত বছর ২ নভেম্বর থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জামায়াতের হরতালের কারণে তা ৭ নভেম্বর শুরু হয়। গতবছর ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। হরতালের কারণে এ পরীক্ষা বিলম্বিত হয়েছিল ২০১৩ সালেও। ওই বছর ৪ নভেম্বর থেকে জেএসডি-জেডিসি পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও তৎকালীন বিরোধী দলের ডাকা হরতালের কারণে তা ৭ নভেম্বর শুরু হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এবছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা যে কোনোভাবে ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই সারাদেশের কোচিং সেন্টার, ফটোকপি দোকান ইত্যাদিতে নজরদারি রাখা হবে। বিজি প্রেস ও বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের ওপরও বিশেষ নজর রাখা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক নামধারী যেসব ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন বা পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র খুলে মোবাইলে ছবি তুলে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে তুলে দেয় তাদেরকে মহান শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে চোরের পেশায় নাম লেখাতে পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, এবার এসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায় কর্মরত এবং প্রতিটি শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের প্রত্যেকের ছবি, মোবাইল নম্বর, বাসার ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর, বাসার অন্য সদস্যদের মোবাইল ফোন নম্বর ইত্যাদি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশ্নপত্র ছাপানোর সময়ে প্রতিদিন বিজি প্রেসের সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি পর্যালোচনা করা হবে।

সভায় জানানো হয়, যে কেউ ফেসবুক বা অন্য কোনো স্যোসাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়ালে বা এসব স্থানে লাইক দিলে বা শেয়ার করলে আইসিটি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষাসচিব অরুনা বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস ও রোকসানা মালেক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাখাল চন্দ্র বর্মন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুবকর সিদ্দিক, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষষ্ণ বালা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি) শেখ নাজমুল আলম, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. মাসুদ আলম, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোখলেসুর রহমান, র্যা ব সদর দফতরের ইবনে মঞ্জুরুল খালিদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব হাবিবুন নাহার, সিটি এসবির এসএস মো. আজাদ মিয়া, এনটিএমসি-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এফ এম আনজুমান কালাম, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার কৃষষ্ণপদ রায়, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের এআইজি (কনফিডেনশিয়াল) মো. মনিরুজ্জামান, বিটিআরসির সহকারী পরিচালক ইশতিয়াক আরিফ, বিজিপ্রেসের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম অংশ নেন।

error: দুঃখিত!