পৌরুষ। ব্যাপারটা নিয়ে একটু বেশিই মাথা ঘামিয়ে থাকেন ছেলেরা। এবং নিজেদের শারীরিক আকার বা ক্ষমতাকে পুরুষত্বের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। ফলে যে পুরুষ আকারে অন্যদের তুলনায় খাটো, তিনি পুরুষালি মেজাজ দিয়ে সেটা ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। ফলে যেটা দাঁড়ায়, বেঁটে ছেলেরা লম্বাদের থেকে বেশি আক্রমণাত্মক হন। বলছে আমেরিকার সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা।
শারীরিক উচ্চতা চিরকালই ছেলেদের কাছে ‘বড়’ হয়ে ওঠার এক বড় মাপকাঠি। নিজেদের উচ্চতা নিয়ে তারা স্পর্শকাতর। আকারে বা উচ্চতায় কম হলেই তাই নিজেদের পুরুষালী গুণ নিয়ে তারা সংশয়ে পড়েন। উচ্চতার ঘাটতি যেন তাদের আত্মবিশ্বাসকেও খাটো করে দেয়। অন্যদিকে স্বাভাবিক বা বেশি উচ্চতার ছেলেরা নিজেদের পৌরুষ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। যে কারণে তারা স্বভাবে শান্ত, ভদ্র, অন্যদের তুলনায় সপ্রতিভ হন। তারা অকারণে উত্তেজিত হন না। ঠিক এর উল্টো মানসিকতা হয় উচ্চতায় খাটো যারা, তাদের। এরা নিজেদের পুরুষত্ব সম্পর্কে অনিশ্চিত, তাই হীনমন্যতায় ভোগেন। তার থেকে আসে নিরাপত্তাহীনতা। অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এদের অস্বাভাবিক কাজ করার প্রবণতাও দেখা যায়। নিজেদের পৌরুষের খামতি, নিজেদের আপাত অক্ষমতা ঢাকার জন্য এরা হিংস্রতাকে বেছে নেন। সেই হিংস্র প্রবণতা আসলে কিন্তু নিজেদের অনুভূতিশীল মনকে রক্ষা করার জন্যে।