২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ১১:২৯
চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে নির্মমভাবে পেটালেন কাউন্সিলর
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৩ জুলাই, ২০২১, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ শহরে স্বর্ণ চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন।

তাকে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) সকালে মুন্সিগঞ্জ শহরের দক্ষিণ ইসলামপুরে এ ঘটনা ঘটে।

মারধর ও সামাজিক নিগৃহের স্বীকার ঐ যুবকের নাম মুরাদ হোসেন রনি। তিনি দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার মোরশেদ হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার স্থানীয় মনির হোসেনের বাড়ি থেকে চার ভরি স্বর্ণ ও ২২ হাজার টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় সোমবার সকালে চুরির অপবাদে মনিরের প্রতিবেশী রনিকে বাড়ি থেকে ধরে আনেন কাউন্সিলর আওলাদ হোসেনসহ মনির হোসেন ও তার ভাই কালাই। পরে মনিরের বাড়ির উঠানে রনিকে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন আওলাদ। তবে মারধরের পরও চুরির বিষয়ে অস্বীকার করেন রনি। পরে রনির ছোটভাই থানা থেকে পুলিশ নিয়ে আসলে পুলিশের কাছে কাছে রনিকে সোপর্দ করেন মারধরকারীরা।

নির্যাতনের শিকার রনি বলেন, ‘সকালে বাসায় আইসা কাউন্সিলর আওলাদ জিজ্ঞাসার কথা বলে আমাকে মনিরদের বাড়িতে নিয়া যায়। সেখানে নিয়া আমারে হাত-পায়ে বান দিয়া মারে আর বলে চুরির কথা স্বীকার করতে। আমিতো স্বর্ণ নেই নাই, আমি কেন স্বীকার করুম? আমারে শুধু শুধু মারধর করছে, আমি এর বিচার চাই।’

মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি রনিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসিনি। মনিরদের বাড়িতে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে, এটি জানতে পেরে আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি অনেক মানুষ সেখানে। পরে ক্রেডিট নেয়ার জন্য তাকে মেরে ছেড়ে দিছি। পুলিশ আসলে চিকিৎসা করানোর কথা বলি। বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে। মারধরের অধিকার আমার নেই, আমি অনুতপ্ত।’

সে যে চুরি করেছে প্রমাণ পেয়েছেন, এমন প্রশ্নে কাউন্সিল বলেন, ‘না, চুরির প্রমাণ পাইনি।’

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, কাউন্সিলর সহ আরও কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। কালাই ও মনির নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন পলাতক আছেন।

তবে কাউন্সিলর আওলাদের স্ত্রী জানান, কাউন্সিলর বাসাতেই আছেন।

error: দুঃখিত!