ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, (আমার বিক্রমপুর)
কোভিড-১৯ মহামারিতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর যেসব মানুষ, বিশেষ করে নারী ও অভিবাসী কর্মীরা চাকরি হারিয়েছে তাদের চাকরির সুযোগ করে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
একই সঙ্গে তিনি সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্যাকসিন সুবিধার ক্ষেত্রেও সমান সুযোগ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্যানেল আলোচক হিসেবে জাতিসংঘের ইউএন উইমেন ও ডেনমার্ক আয়োজিত ‘এ জেন্ডার- স্মার্ট অ্যাপ্রোস টু রিকভারিং ফ্রম কোভিড- ১৯’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বৈষম্য বিলোপ, অপুষ্টি ও অসমতা রোধে একসাথে কাজ করতে হবে। যা নারীদের কোভিড-১৯ এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানের অন্যান্য প্যানেল আলোচকরা হলেন- নাইজেরিয়ার অর্থমন্ত্রী জয়নব এস আহমেদ, জামাইকের অর্থমন্ত্রী নাইজেল ক্লার্ক, ইথিওপিয়ার অর্থ প্রতিমন্ত্রী ইয়াসমিন ওহাব্রেব্বি, মিসরের অর্থমন্ত্রী আহমেদ কউচুক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাও ঝাং এবং বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মমতা মুর্তি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মিজ আমিনা মোহাম্মেদ ও সূচনা বক্তব্য দেন ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক মিজ আনিতা ভাটিয়া।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও কোভিড ১৯ মহামারির কারণে প্রবাস ফেরত অভিবাসী-বেকার যুবকদের ব্যবসায় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ মহামারি কাটিয়ে উঠতে শেখ হাসিনা সরকার এক লাখ কোটি টাকার বেশি ২১টি উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। যা দেশের জিডিপির প্রায় ৪.৩ শতাংশ। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। মহামারি চলাকালীন ৬ কোটি মানুষকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরও বলেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নিশ্চিতে আড়াই কোটি লোককে সহায়তা করা হয়েছে যা বাজেটের বরাদ্দের ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ভিজিডি, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও কর্মজীবী ল্যাক্টেটিং মা ভাতা হিসেব ২০ লাখের বেশি নারী ও শিশুকে খাদ্য, পুষ্টি এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশের ৬৪টি জেলায় নারীদের দক্ষতা বিকাশে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে সরকার ডিএনএ টেস্টিং পরীক্ষাগার স্থাপন করেছে। ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আইন কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, নির্বাচিত সংস্থা, এনজিও এবং গণমাধ্যম পরিসেবা সহ দেশের সকল পর্যায়ে মহিলা ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে।