১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | রাত ১১:২১
‘চন্দ্রপৃষ্ঠের ক্ষত’ সারাতে ৩৪ লাখের পর আবার ২০ লাখ টাকা ঢালছে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা
খবরটি শেয়ার করুন:
20

মুন্সিগঞ্জ, ১৩ জুলাই ২০২৫, নিজস্ব প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)

৩৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যায় করে মুন্সিগঞ্জ শহরের মানিকপুর থেকে কাটাখালি পর্যন্ত আলোচিত সড়কটির ছোট-বড় গর্ত সারাতে ৮ মাস পর আবারও অস্থায়ী সংস্কারে ২০ লাখ টাকা ব্যায় করছে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা। প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যায়ে সংস্কারের দুই মাস পরই বেহাল দশা হয়ে যাওয়ায় এবারের উদ্যোগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে, সড়কের নিচ থেকে গ্যাস পাইপ সরাতে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক। তিনি বলছেন, এরপরই স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগে গতি আসবে।

গত ৮ জুলাই সড়কটির বেহাল দশা নিয়ে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার সড়ক যেন চন্দ্রপৃষ্ঠের “ক্ষত” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে আমার বিক্রমপুর। সংবাদের ভাষ্য অনুযায়ী- পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। ওই ক্ষতচিহ্ন থেকেই মানুষ বলাবলি করে থাকেন চাঁদেরও কলংক আছে। মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার সড়কে সড়কে যেনো চন্দ্রপৃষ্ঠের সেই অসংখ্য ক্ষতচিহ্নের ছাপ ফুটে উঠেছে। রাজধানীর কাছের প্রথম শ্রেনীর পৌরসভাজুড়ে সড়ক গুলোতে খানাখন্দ আর ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠের রূপ নিয়েছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবরে শহরের মানিকপুর থেকে দীর্ঘদিনের ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কারে প্রকল্প নেয় মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা। এতে ব্যয় করা হয় ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ টাকা। ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ৩ মাস মেয়াদে কাজ পায় মেসার্স মাজেদ ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের আওতায় মানিকপুর দশতলা ভবনের সামনে থেকে সুপারমার্কেট অঙ্কুরিত যুদ্ধ ১৯৭১ ভাস্কর্য, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার রেড ক্রিসেন্ট ভবন থেকে জেলা পরিষদ এবং সুপারমার্কেট-থানা সড়ক হয়ে লিচুতলা এলাকার পতাকা একাত্তর ভাস্কর্য পর্যন্ত সড়কে খোয়া ফেলে খানাখন্দ ভরাট ও রোলার দিয়ে ডলে পিচ ঢালাই করার কথা ছিলো। কিন্তু বাস্তবে উল্লেখিত এলাকাগুলোতে কাজ হয়নি।

অন্যদিকে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সড়কের কাজ শেষ হলেও দুই মাস পরই সড়কটি ফিরে যায় আগের রুপে।বর্তমানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।

মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মৌসুমী মাহবুব বলেন, ‘রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য আমরা ২০ লাখ টাকার টেন্ডারে দিয়েছি। যে টেন্ডার পাবে তার মাধ্যমে রাস্তাগুলো সংস্কার করবো। এছাড়া স্থায়ী সংস্কারে লঞ্চঘাট থেকে সুপারমার্কেট ও মানিকপুর থেকে সুপারমার্কেট পর্যন্ত প্রকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই অনুমোদন হয়ে যাবে।’

তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে ‍সুপারমার্কেট পর্যন্ত তিতাস গ্যাসের যে লাইন আছে, যেটার জন্য আমরা রাস্তাটার কাজ করতে পারছিলাম না। এটা আমরা তিতাসের সাথে বারবার যোগাযোগ করেছি। ইতিমধ্যে তাদের টেন্ডার হয়ে গেছে। তারা অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই রাস্তা খনন করে গ্যাস লাইনটা সরাবে। এই পাইপগুলো লিকেজ থাকায় উপর দিয়ে স্থায়ীভাবে কোন কিছু করা এতদিন সম্ভব হয়নি। এতে বিস্ফোরণের ঝুঁকি ছিলো।