সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন মানুষের প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। আর সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করাও সম্ভব। গবেষণায় বলা হয়, ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান খুব ভালো অভ্যাস। এর কিছু উপকারিতাও রয়েছে। এটি পাকস্থলীতে ভালো কাজ করে; অনেক কঠিন রোগ প্রতিকারে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম দিয়েছে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
খালি পেটে পানি খেলে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা আর রোগব্যাধি থেকে পাওয়া যায় নিরাপত্তা। মাথাব্যথা, শ্বসনজনিত সমস্যা, এপিলেপসি, রক্তের চর্বি, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, টিবি, মেনিনজাইটিস, কিডনির রোগ এবং প্রস্রাবের রোগ, বমি বমি ভাব, এসিডিটি, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, ডায়রিয়া, পাইলস, ডায়াবেটিস, জরায়ুর বিভিন্ন অসুখ, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, কান ও গলার সমস্যায় অনেক উপকার পাবেন খালি পেটে পানি খেলে।
পানি পানের সূত্র!
• সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করার আগে চারবার করে ১৬০ মিলি (মোট ৬৪০ মিলি) পানি পান করুন।
• দাঁত ব্রাশের পর ৪৫ মিনিটের মধ্যে আর পানি পান করবেন না।
• ৪৫ মিনিট পর স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করবেন এবং পানি পান করবেন।
• সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার, রাতের খাবারের পর দুই ঘণ্টার মধ্যে অন্য কিছু খাওয়া যাবে না বা পানি পান করা যাবে না।
• যাঁরা বয়স্ক এবং অসুস্থ, যাঁরা খালি পেটে চার গ্লাস পানি পান করতে পারেন না, তাঁরা যতটুকু সম্ভব পানি পান করবেন। পানি পানের অভ্যাস প্রতিদিন ধীরে ধীরে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। যত দিন না পর্যন্ত এটি ৬৪০ মিলিলিটারে পৌঁছাচ্ছে। এভাবে পানি পানের পদ্ধতি আপনাকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
কত দিন এটা চলতে পারে
• উচ্চ রক্তচাপের জন্য ৩০ দিন
• গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যার জন্য ১০ দিন
• ডায়াবেটিসের জন্য ৩০ দিন
• কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ১০ দিন
• টিবির জন্য ৯০ দিন
• যাঁরা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত, তাঁদের প্রথম সপ্তাহের শেষের তিন দিন এ পদ্ধতিতে পান করতে হবে। তার পর এক সপ্তাহ বন্ধ রাখতে হবে। এর পর প্রতিদিনই এক নিয়মে পান করতে হবে।
কাজেই এখন ঘুম থেকে উঠে সবার আগে পানি খাবেন, আপনার প্রয়োজন বুঝে। এই সহজাত অভ্যাসে শরীরটা যদি নিরাপদ থাকে, ভালোই তো হয়!