বেশি ঘাম হলে অনেকেই বেশি করে পানি খান। কিন্তু শুধু জল নয়, নুন, চিনি ও পাতিলেবু মিশিয়ে শরবত করে জল খান। কারণ, ঘামের সঙ্গে কিছু দূষিত পদার্থ ও তার সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে সোডিয়াম ও যৎসামান্য পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেট শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। জেনে নিন ঘাম থেকে বাচার উপায়, যা খেতে হবে-
১. গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাবের জল খেতে পারেন। প্রথমত ঘোল ভালো লাগে, দ্বিতীয়ত দইয়ে থাকা র্যাকটিক এসিড চটজলদি হজম করাতে সাহায্য করে। ডাবে থাকা পটাশিয়ামও শরীর তরতাজা রাখতে পারে।
২. কাঁচা আমপোড়ার শরবতও শরীর ঠাণ্ডা রাখে।
৩. বয়স্ক মানুষদের ঘাম বেশি হলে অবিলম্বে নুন লেবুর শরবত খাওয়ানো দরকার, না হলে হঠাৎ জ্ঞান হারাতে পারেন।
৪. গরমে ঘাম বেশি হয় বলে এ সময়ে সাড়ে তিন থেকে চার লিটার জল, শরবত ও পাতলা চা খেলে শরীরের পক্ষে ভালো হয়।
৫. যাদের সারাক্ষণ রোদে ঘোরাঘুরি করতে হয় তারা সঙ্গে নুন, লেবু, চিনি সম্ভব হলে ছাতু মিশিয়ে শরবত করে সঙ্গে রাখুন। শরীর দুর্বল লাগলে ও ঘাম বেশি হলে দু-তিন ঢোঁক করে খেতে পারেন। কাজে এনার্জি পাবেন। তবে গরমকালে তেষ্টা পাক আর না পাক দু-তিন লিটার জল খেতে হবে তা কিন্তু নয়, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী জলের তেষ্টা পায়, সেই অনুযায়ী জল খেতে হবে।
৬. জল ঢালা ঠাণ্ডা ভাত (পান্তা ভাত) খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে, ঘুমও ভালো হয়।
৭. গরমে ফল বেশি করে খেলে জলের তেষ্টা অনেকটাই কমে। তার সঙ্গে ফলে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
শরীর তরতাজা রাখতে সাহায্য করে। জামরুল, তরমুজ, লিচু, শসা, পাকা পেঁপে, পাকা আম যথেষ্ট পরিমাণে খাবেন। পাকা আমের ভিটামিন ‘এ’ ভবিষ্যতের জন্য শরীরে স্টোর করা যায়।
৮. কোল্ড ড্রিংসের বদলে টেট্রা প্যাকের জুস ভালো, তবে সবচেয়ে ভালো বাড়িতে তৈরি ফ্রেশ ফ্রুট জুস ও টাটকা ফল।
৯. গরমের সময়ে বেশি তেলমসলা দেয়া মাটন, চিকেন, মাছ না খেয়ে মুরগির স্টু, মাছের পাতলা ঝোল- এই ধরনের খাবার খেলে ভালো হয়। তবে প্রত্যেকের খাবারের রুচি ও সহ্য ক্ষমতা আলাদা আলাদা হওয়ায় গাইডলাইন অনুযায়ী শরীর বুঝে খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।