নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের জোড় পুকুর পাড়ের বালুর মাঠে কোরবানী গরুর হাটের ইজারার সিডিউল নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীরা ঘোষিত ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এ ঘটনায় অনেকের অভিযোগ প্রশাসনের ভেতর বিএনপির ভুত ঘাপটি মেরে বসে আছে। সেই ভুত বিএনপিকে সুযোগ সুবিধা পায়িয়ে দিতে ছলনার আশ্রয় নিচ্ছে।
অভিযোগকারীদের দাবি এই ইজারা বাতিল করে পুনরায় সিডিউল জমা দেওয়ার তারিখ ঘোষণা করা হোক।অভিযোগকারীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
লিখিত অভিযোগে তারা জানান, ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে গরুর হাটের জন্য বালুর মাঠে ইজারার সিডিউল জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক, মুন্সীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুন্সীগঞ্জ সদর ভূমি অফিসে ইজারা আগ্রহীদের সিডিউল জমা দেয়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে টেন্ডার বাক্স রাখা হয়।
একই দিন বিকেল ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারাবান তাহুরা তার অফিসে উপস্থিত সিডিউল দাতাদের সামনে টেন্ডার বাক্স খোলেন। সেখানে দেখা যায় ৪টি সিডিউল জমা হয়েছে। ৩টি উপজেলার টেন্ডার বাক্সে ও ১টি ভূমি অফিসের টেন্ডার বাক্সে। এ সময় শারাবান তাহুরা জানান জেলা প্রশাসকের অফিসে কোনো সিডিউল জমা পড়েনি।
অভিযোগকারীরা জানান ভূমি অফিসে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো সিডিউল জমা পড়তে তারা দেখেননি। সেই দিন নির্ধারিত সময় শেষে দুপুর ১টার পরে আমাদের লোকজনসহ পুলিশের সামনে ভূমি কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিতা টেন্ডার বাক্স ঝাকিয়ে দেখান যে বাক্সে কোন সিডিউল পরে নাই। তবে এই সিডিউল আসলো কোথা থেকে। এই প্রশ্ন এখন সবার? এই বিষয়ে অভিযোগ উঠায় ইজারা সচ্ছতার জন্য তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে অনেকেই মনে করে। অভিযোগকারীর দাবি যে এতে স্পষ্ট কারচুপি ও জালিয়াতের মাধ্যমে ভূমি অফিসারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে একটি গ্রুপ এই সিডিউল দাখিল দেখাচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সিডিউল দাতাগণ আগে থেকেই কারচুপির বাতাস পেয়েছিল। এখন কারচুপির অভিযোগ শুধু সিডিউল দাতাগণের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তা মুন্সীগঞ্জবাসীর মুখে মুখে ছড়িয়ে পরছে।