১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৩:৩৮
গজারিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুর্নীতির আখড়া
খবরটি শেয়ার করুন:

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঘুষ বাণিজ্য আর দালাল চক্রের দৌরাত্মসহ নানা অনিয়মে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর গজারিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়। দালাল চক্র বিদ্যুৎ সংযোগের নামে মিটার, তার ও খুঁটি বাণিজ্য করছে। ফলে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না প্রকৃত গ্রাহকরা।

জানা যায়,কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ-৩ এর গজারিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করছে একটি দালাল চক্র।

অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নানামুখী অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর গজারিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়।

গ্রাহকদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করা হলেও সেটি মাসের পর মাস এমনকি বছর ধরে ফাইলবন্দি অস্থায় পরে থাকছে।

আর দালাল চক্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা খরচ করলে সহজেই মিটার, তার, খুঁটি ও সংযোগ পাওয়া যায়। প্রতি সংযোগের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে সদস্য ফরম বাবদ ১০০ টাকা ও মিটার বাবদ ৬২০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৫ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা।

আগে আবেদন করা গ্রাককদের আগে সংযোগ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছেনা। ওয়ারিং পরিদর্শক ও বিলিং সুপারভাইজারসহ তাদের নিয়োজিত দালালদের হাতে অতিরিক্ত টাকা না দিলে আবেদনকারীদের সংযোগস্থলে বাড়তি লোড রয়েছে বলে মিথ্যা প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

এছাড়া নতুন এলাকায় সংযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে হচ্ছে খুঁটি, তার ও মিটার বাণিজ্য।

অভিযোগ রয়েছে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার ও মিটারের সরবরাহ না থাকার কথা বলে করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য।

খুঁটি বাবদ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও দালালদের মাধ্যমে খুঁটি প্রতি আদায় করা হচ্ছে ৪০ হাজার থেকে লাখ টাকা। টাকা দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি পেলেও সংযোগের জন্য ঘুরতে হচ্ছে বছরের পর বছর।

গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামের মোঃ মুন্না বলেন, ‘২০১৫ সালে আবাসিক সংযোগের জন্য আবেদন করি। আবেদনের পর পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে লোড না থাকার অজুহাত দেখিয়ে সংযোগ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয়।

পরে ২০১৫ সালে আমি এক কর্মকর্তাকে ১০ হাজার টাক ঘুষ দিলে আমি নতুন সংযোগ পাই ।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর গজারিয়া আঞ্চলিক কার্যলয়ের জিএম আবু রায়হান জানান, বিদ্যুৎ অফিসকে কেন্দ্র করে একটি দালাল চক্র সক্রিয়,’এসব দালালদের দৌরাত্ম বন্ধে আমরা সর্ববাত্মক চেষ্টা করছি।

এছাড়াও প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে দালালদের অপতৎপরতা বন্ধের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে দালালদের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের কেউ জড়িত নয়, এটা বলবো না। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। অনিয়মের সঙ্গে কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

error: দুঃখিত!