১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | দুপুর ২:০৩
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
গজারিয়ায় পুলিশের উপর হা.মলা: চেয়ারম্যান মিঠুকে প্রধান আসামি করে মামলা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৯ মে ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালটপেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও দেড়শো-দুইশো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সংশ্লিষ্ট থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন গজারিয়া থানায় কর্মরত পুলিশের উপ পরিদর্শক জাহিদ হাসান।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার এজাহারে ১৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুম (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (৮ মে) গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্র দখলে নিয়ে একাধিক ব্যালটপেপারে সিল মারেন পরাজিত আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যালটে মারার সিল লুট করে নিয়ে যান তারা। পরে ওই কেন্দ্রে দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার। বিকাল ৩ টা ২৫ মিনিটের দিকে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু করা হলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা দেড়শো থেকে দুইশো কর্মী সমর্থক বিভিন্ন দেশী-বিদেশী অস্ত্র নিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের উপর হামলা করেন। ভাঙচুর করা হয় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন পুলিশের দুই সদস্য সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগ (২৫)।

ঘটনা শুনে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেড়িয়ে এলে তাদের উপর মুহুর্মুহু ইট-পাটকেল, লাঠি-সোটা, হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুনরায় ওই কেন্দ্রের দখল নেয়ার চেষ্টা করেন ওই কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনার উস্কানি ও নেতৃত্ব দেন হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু।

পুলিশ বারবার তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা পর বিকাল ৫ টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

একইদিন সকাল সোয়া ৯ টার দিকে হোসেন্দির ভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাকে মারধরের ঘটনা ঘটে মিঠুর নেতৃত্বে। এসময় সেই দৃশ্য ধারণ করতে গেলে তার ভাই গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক স্বপন ও তাদের ভাতিজা তানভির হক তুরিনসহ আরও ১০-১৫ জন দৈনিক মানবজমিনের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি গোলজার হোসেনের উপর হামলা করেন। সেই ঘটনায়ও গজারিয়া থানায় পৃথক একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।

error: দুঃখিত!