১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | সকাল ১১:৫৯
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
গজারিয়ায় জনপ্রিয়তায় এগিয়ে জিন্নাহ, আমিরুলের জন্য ঢাকায় গোপন মিটিং
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মাঠ পর্যায়ের গোয়েন্দা জরিপে এগিয়ে রয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ। বেশিরভাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, চেয়ারম্যান ও ভোটাররা তার পক্ষে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, জিন্নাহর প্রধান প্রতিদ্বন্দী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম নানা সমীকরণে নির্বাচনের মাঠে অনেকটা কোণঠাসা। তাই, যেকোন কৌশলে নির্বাচনে জিতে আসতে সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বারবার ধরনা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমিরুল ইসলামের পক্ষে কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ঢাকায় ডেকে নিয়ে দফায় দফায় গোপন মিটিং হচ্ছে।

এসব বিষয় নিয়ে গজারিয়ায় মাঠে-ঘাটে আলোচনা এখন তুঙ্গে।

৮ মে অনুষ্ঠিতব্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দীতায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ। তারা দুজনই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন ও তার পুত্র মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবের অনুসারী।

জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গজারিয়ার বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রতিনিধিদের ঢাকায় ডেকে নিয়ে উপজেলা আ. লীগ সভাপতি আমিরুল ইসলামের পক্ষে কাজ করতে অনুরোধ করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা কথা শুনবেন কি না তা কেউই নিশ্চয়তা দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ বলেন, ‘নির্বাচন আসলে অনেক ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। এটা করে কেউ কেউ সুবিধা নিতে চায়। আমার এই মুহুর্তে যে অবস্থান তাতে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানের সুযোগ নেই। সকল নেতাকর্মী ও ভোটাররা আমার পক্ষে এক হয়ে গেছে। আমি তাদের রায়ের অপেক্ষায় আছি।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বা স্থানীয় সংসদ সদস্য আপনাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বললে কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে জিন্নাহ বলেন, ‘তারা আমার অভিভাবক। আমার বিশ্বাস তারা আমাকে এরকম কোন কথা বলবেননা।’

ঢাকায় গোপন মিটিংয়ের কোন তথ্য জানেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে জিন্নাহ বলেন, ‘কেউ যদি কাউকে ডাকে সে যেতে পারে। কেউ যদি কারও পক্ষে কাজ করতে বলে সেটাও করতে পারে। কিন্তু আমার বিপক্ষে কাজ করতে বলেছে বলে আমার জানা নেই।’

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ মে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সর্বমোট চারজন চেয়ারম্যন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দীতায় রয়েছেন আমিরুল ইসলাম ও মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ। অন্য দুই প্রার্থী হলেন- দোয়াত কলম প্রতীকের আশরাফুল ইসলাম ও ঘোড়া প্রতীকের আবুল বাসার।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন- চশমা প্রতীক নিয়ে আতাউর রহমান নেকী, তালা প্রতীকে জুনায়েত হোসেন মনির ও টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে সাইফুল ইসলাম (মন্টু)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে খাদিজা আক্তার (আখি), হাঁস প্রতীক নিয়ে নুসরাত জাহান মিতু, ফুটবল প্রতীক নিয়ে মীনা আক্তার ও কলস প্রতীক নিয়ে মেহেরুন নেসা উত্তরা।

গজারিয়া উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭০ হাজার ৪৫৬ জন ও নারী ভোটার ৭৪ হাজার ৫৩০ জন। ভোট হবে ব্যালটপেপার পদ্ধতিতে।

error: দুঃখিত!