২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ৪:২৯
খুসখুসে কাশি? ওষুধ না নিয়ে কেবল এই সুস্বাদু খাবারেই মিলবে সমাধান!
খবরটি শেয়ার করুন:

শীতের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শরীরের কিছুটা সময় লাগে। তার উপর কখনও তীব্র শীত, আবার কোনও দিন ঠান্ডা কমে যাওয়া। আবহাওয়ার এই খেয়ালিপনার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়ানো খুব সহজ নয়। এই সময় খুসখুসে কাশি, ঠান্ডা লাগা, শ্লেষ্মাজনিত নানা মরসুমি অসুখের প্রকোপ বাড়ে। তাই হাতের কাছে সমাধান মজুত রাখতে নানা ওষুধ, কাফ সিরাপ বা ঘরোয়া উপায়ে আস্থা রাখেন অনেকেই।

কিন্তু দেদার অ্যান্টিবায়োটিক, কাফ সিরাপ বা ঘরোয়া উপায়েও খুসখুসে কাশি কমতে সময় লাগে। সঙ্গে অনেক কাফ সিরাপে শরীর অবসন্ন হয়ে পড়ে, ঘুম ঘুম ভাবও আসে। তবে এ বার আর খুসখুসে কাশি সারাতে সে সবে ভরসা করতে হবে না। বরং যদি চকোলেট ভালবাসেন, তা হলেই চলবে!

অন্তত এমনটাই দাবি ব্রিটেনের গবেষকদের। ইউনিভার্সিটি অব হাল-এর গবষকরা সম্প্রতি ডার্ক চকোলেটকেই সর্দি-কাশি থামানোর দাওয়াই হিসাবে ভাবছেন। তাঁদের মতে, শ্লেষ্মাজনিত অসুখের অন্যতম সমাধান লুকিয়ে আছে কোকোয়ায়। কোকোয়ায় থাকা থিওব্রমিন পাতলা শ্লেষ্মাকে আঠালো করে খুসখুসে কাশি কমায়।

ডার্ক চকোলেটে কোকোয়ার পরিমাণ বেশি থাকায় একেই অন্যতম সেরা সমাধান বলে মনে করছেন গবেষণার প্রধান অ্যালিন মরিস। তাঁর মতে, কোকোয়া কেবল পাতলা শ্লেষ্মাকে আঠালো করে তা-ই নয়, গলার ভিতরে স্নায়ুপ্রান্তগুলিকে ঢেকে দেয় আঠালো আস্তরণ তৈরি করে। তাই খুসখুসে কাশি আর থাকে না। বেশির ভাগ কাফ সিরাপ বা কাশি কমানোর ওষুধে তাই কোকোয়া থাকে। তবে চকোলেটে বিশেষ করে ডার্ক চকোলেটে এর পরিমাণ বেশি থাকায় গবেষকরা তাতেই ভরসা করছেন বেশি।

খুসখুসে কাশিতে ভুগছেন, এমন কয়েক জন রোগীকে ডার্ক চকোলেট দিয়ে প্রায় দু’দিনের মধ্যে তাঁদের কাশি অনেকটাই কমিয়ে ফেলা গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের এই দাবিকে নস্যাৎ করছেন না জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীও। তাঁর মতে, “কোকোয়া কাশি সারানোর অন্যতম সেরা উপাদান। নানা কাফ সিরাপে অন্য অনেক উপাদানের সঙ্গে এরও ব্যবহার আছে। তবে কাশি হলেই চকোলেট খেতে শুরু করলে আবার হানা দেবে ওবেসিটি, সুগারের মতো নানা রোগও। তাই ভারী কাশিতে ওষুধ নেওয়াই ভাল। তবে অল্পস্বল্প সর্দি-কাশি হলে চকোলেটের উপর আস্থা রাখাই যায়।’’

error: দুঃখিত!