শিহাব আহমেদঃ মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ শহরে প্রবেশের অন্যতম প্রধান সংযোগস্থল ‘মুক্তারপুর সেতু’র (ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু) ঠিক মুন্সীগঞ্জ অংশের নিচঁ থেকে শুরু হয়ে সদরের মূল শহরের কেন্দ্র সুপার মার্কেট স্বাধীনতা চত্বর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা । আলোচিত জনপদে বর্তমানে আলোচিত এক সড়ক।
ক্ষমতার পালাবদলে বিভিন্নভাবে বিভিন্নজন বসেছেন দায়িত্বে, কিন্তু কেউই তেমন গুরত্ব দেননি সড়কের করুণ অবস্থার! অথচঁ শুধুমাত্র রাজনৈতিক সুবিধা নিতে সবাই ব্যাবহার করেছেন এই রাস্তাটিকে। দলীয় বিবেচনায় বারবার নিয়োগে তদবির করে কাজ তুলে দিয়েছেন অপেশাদার-অতিরিক্ত মুনাভালোভী ঠিকাদারদের হাতে। আর কাজের পরে কেউ যেন ভ্রুক্ষেপও করেনি পরবর্তী অবস্থার। বর্ত মানে রাস্তাটি যেন এ অঞ্চলের মানুষের গলার কাটা । বিগত কয়েকদিনে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সকল জাতীয় পত্রিকায় এ নিয়ে ধারাবাহিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও বিষয়টি নিয়ে ন্যুনতম দায়িত্ববোধ দেখানোরও প্রয়োজনবোধ করেননি সড়কটির নিয়ন্ত্রক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের কেউই।
সড়কটি দিয়ে চলাচল করা বা অত্যাবশকীয় প্রয়োজনে মুন্সীগঞ্জের বাকি ৫টি উপজেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে আসা প্রতিদিন সরকারী পাড়াখ্যাত শহর ঘেষা পাসপোর্ট অফিস, জেলা আদালত,জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়, জেলা পরিষদ, জেলা পুলিশ সুপারের কার্য ্যালয়, সড়ক ও জনপথ,গণপূর্ত বিভাগ ,মুন্সিগঞ্জ,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর,বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) এর কার্যালয় বিটিসিএল, মুন্সীগঞ্জ এর কার্যালয়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিআরটিএ,মুন্সীগঞ্জ ,জেলা সিভিল সার্জ নের কার্য ালয়, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, মুন্সীগঞ্জ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর,জেলা তথ্য অফিস, জেলা নির্বাচন অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস,জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, প্রবাসীকল্যান ব্যাংক. জেলা কারাগার, জেলা সার্কিট হাউস, সরকারী হরগঙ্গা কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, সরকারী আলিম মাদ্রাসা, সরকারী একমাত্র হাসপাতাল-মর্গ, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করা প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন বয়সী-বিভিন্ন পেশার ব্যাক্তিদের সকলেই মনে করেন কতৃপক্ষের উদাসীনতা. গা-ছাড়া ভাব ও অপেশাদারী আচঁরনই এই অবস্থার জন্য মূল দায়ী।