শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছেন। আজ সোমবার সকালে ঢাকার মহানগর হাকিম ইউসুফ হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শাহাদাত। পরে তিনি জামিনের আবেদন জানান।
একই মামলায় শাহাদাতের স্ত্রী জেসমিন জাহান ওরফে নৃত্য শাহাদাতকে গত শনিবার দিবাগত রাতে মালিবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মিরপুর থানায় নেওয়া হয়। গতকাল রোববার তাঁকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে তাঁর জামিন ও রিমান্ডের আবেদন নাকচ এবং কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।
গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার ওরফে হ্যাপিকে (১১) নির্যাতনের অভিযোগে গত মাসের শুরুর দিকে শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। মামলাটি করেন জনৈক খন্দকার মোজাম্মেল হক।
বাদীর ভাষ্য, কালশীর সাংবাদিক কলোনি এলাকা থেকে মাহফুজাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান তিনি। শিশুটির কেউ না থাকায় তিনি বাদী হয়ে শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্রিকেটার কাজী শাহাদাত হোসেনের বাসায় সাত মাস আগে কাজে যোগ দেয় মাহফুজা। শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রী প্রায়ই তাকে মারধর করতেন, গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিতেন।
ঘটনার পর মাহফুজা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে, শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রী তাকে মারধর করে আহত করেন। একপর্যায়ে দরজা খোলা পেয়ে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায় এবং কালশী এলাকায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মাহফুজা জানায়, তার বাবার নাম আরব আলী ও মা পেয়ারা বেগম। বাড়ি জামালপুর।
গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর মাহফুজাকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন শাহাদাত।