মুন্সিগঞ্জ, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, নাদিম হোসাইন (আমার বিক্রমপুর)
সরকার আলুর দাম খুচরা ও হিমাগার পর্যায়ে দাম বেঁধে দিয়েছে। এসব নিয়ম মানছেন না মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। কৌশল পাল্টে এবার মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ীরা রশিদ ছাড়া মুঠোফোনে আলু বিক্রি করছেন।
অন্যদিকে, কোন ধরনের দরদাম না করে সরাসরি আলু মোকামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন তারা।
এদিকে, গেল রোববার থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করার কথা থাকলেও বেশির ভাগ কোল্ড স্টোরেজ ক্রেতা শূন্য দেখা গেছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের তদারকিতে গতকাল রোববার দুপুরে সদর উপজেলার নিপ্পন কোল্ড স্টোরেজে সরকারে বেঁধে দেওয়া দর ২৭ টাকায় ২৭ হাজার ৭৫ কেজি আলু বিক্রি হয়েছে বলে জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আব্দুস সালাম।
আলু ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, কোন ধরনের দরদামে আলু বিক্রি করছি না। আলু পাঠিয়ে দিচ্ছি মোকামে। পরে মোকাম থেকে যা লাভ হবে উভয়ের মধ্যে বন্টন করে নিবো।
বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, অভিযানের পর নতুন করে কোন ধরনের আলু ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে না জেলার হিমাগারগুলোতে। হিমাগার থেকে সরাসরি বিভিন্ন মোকামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সেখানেই চলছে ক্রয় বিক্রয়। সরকারি বেঁধে দেয়া দামে আলু বিক্রিতে অনাগ্রহের কথা জানান তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রতিদিন একেকটি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর ভোক্তাদের মোট আলুর চাহিদা রয়েছে ৯৫ হাজার ৮৮ টন। সেখানে উৎপাদিত হয়েছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৪৬৩ টন। জেলার ১৬০ টি হিমাগারে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মজুদ ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ১৮২ টন আলু।
জাতীয় পর্যায়ে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টন। দেশে আলুর চাহিদা ৭০ -৮০ লাখ টন। সে হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকে ৩৬ লাখ টনের বেশি আলু। তবে হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীদের দাবি হিমাগারে যে পরিমান আলু মজুত আছে তা ডিসেম্বরের আগেই শেষ হয়ে যাবে। এতে দেশে আলুর সংকট তৈরি হবে।