মুন্সিগঞ্জ, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
আলু চাষের শুরুতেই টানা বৃষ্টির কারণে আলুবীজ বপনকৃত ফসলী জমি প্লাবিত হয়ে যায়। প্রায় দেড় সপ্তাহ ব্যবধানে এরই মধ্যে উচু জমির পানি নিস্কাশন হতে শুরু করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ঘুরে দাড়াতে জমিতে পুনরায় আলু চাষের স্বপ্ন দেখছেন।
তবে অতিরিক্ত মজুরী দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা। এই অঞ্চলের বিশাল কৃষি কর্মযজ্ঞে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শ্রমজীবি মানুষের ওপর নির্ভরতা দিনদিন বাড়ছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের টানা বৃষ্টির কারণে কর্ম হাড়িয়ে বাড়িতে ফিরে যান হাজার হাজার কৃষি শ্রমিক। এসব কৃষি শ্রমিক ফিরতে শুরু না করায় শ্রমিক সংকটে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষি শ্রমিকের অভাবে আলুসহ বিভিন্ন ফসলী জমিতে মৌসুমী চাষাবাদে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষক।
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে আলু চাষীদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, কৃষি মৌসুমে রংপুর, কুড়িগ্রাম, চাপাই নবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বছরের হাজার হাজার কৃষি শ্রমিক তাদের শ্রম বিক্রি করতে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ডিসেম্বরের শুরুতেই টানা বৃষ্টির কারণে আবাদী জমি সব ডুবে যায়। জমিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। তাই কর্ম না থাকায় প্রায় ৭০ ভাগ শ্রমিক নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। এতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাচ্ছেন না তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একজন শ্রমিককে তিন বেলা খাবার ও থাকাসহ দৈনিক মজুরী দিতে হচ্ছে সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
এছাড়াও আলু চাষে প্রতি কানি জমিতে (১৪০ শতাংশ) আলু বীজ বপণ ও ঢাকা পর্যন্ত কাজের জন্য শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। শ্রমিক সংকটের কারণে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেও প্রয়োজনীয় কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা। পুনরায় জমিতে আলু চাষের জন্য বস্তা বীজ আলু ১৯০০-২৬০০ টাকা ও প্রতি বাক্স বীজ আলু ১২-১৬ হাজার টাকায় সংগ্রহ করতে হচ্ছে কৃষকদের।
এছাড়া কানি প্রতি জমিতে বিভিন্ন সার ব্যবহার করতে হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ বস্তা করে। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলু চাষের জন্য জমিতে ২২-২৫ বস্তা করে সার প্রয়োগ করেন।
একটি সূত্র জানায়, সার বিক্রেতারা নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে সার বিক্রির কোন রশিদ দিচ্ছেনা।