সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আগামী পাঁচ বছরে পদ্মা সেতু ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনার মেয়াদকাল অর্থ্যাৎ ২০২০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে এলএনজি টার্মিনাল ও ঢাকায় ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট (এমআরটি)-এর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ। আর ২০২০ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রটি কেমন হবে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এ সব লক্ষ্য নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়া দলিল চূড়ান্ত করেছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ দলিলটি পাসের জন্য ওঠানো হবে। অর্থনীতির চাকা আরো জোর গতিতে ঘুরাতে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আগামী পাঁচ বছরে দেশে নতুন করে ১২ হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এর মধ্যে সরকারি খাত থেকে ৭ হাজার ৬৮২ মেগাওয়াট ও বেসরকারি খাতে ৪ হাজার ৯০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২০ সাল নাগাদ মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ২৩ হাজার মেগাওয়াট।বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি বিনিয়োগে বড় আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা বলা হয়েছে পরিকল্পনার খসড়ায়।
পরিকল্পনা মেয়াদকালে পদ্মা সেতু ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, গভীর সমুদ্রবন্দর, মেট্রো রেল, এলএনজি টার্মিনাল পায়রা সমুদ্রবন্দরের মতো বড় প্রকল্পে বিনিয়োগকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার ৭ লাখ ২৫ হাজার ২০০ কোটি এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ২৪ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে পরিকল্পনায় লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে।