কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ জানুয়ারি। ৪১তম এ মেলা চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ বছর মেলার শেষ দিনে বাংলাদেশ দিবস পালিত হবে।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মিসর, স্পেন, কোস্টারিকা, রাশিয়া, বলিভিয়াসহ ২৯টি দেশ অংশ নিচ্ছে। বইমেলার থিম দেশ হিসেবে তুলে ধরা হবে লাতিন আমেরিকার দেশ কোস্টারিকাকে।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্যোক্তা কলকাতা বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কোস্টারিকার লেখক রোকসানা পিন্টো লোপেজ, সাহিত্যিক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। মেলা প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় ৬০০টি থাকছে। লিটল ম্যাগাজিনের কিয়স্ক থাকবে ২০০টি।
তবে এ বছর ভারতে নোট বাতিলের প্রভাবে কলকাতা বইমেলায় যাতে বইপ্রেমীদের বই সংগ্রহ করতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার একটা শাখা খোলা হবে বইমেলা চত্বরে।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার (পূর্ব) পার্থ প্রতিম সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, বইপ্রেমীদের রুপির জোগান দিতে বইমেলা চত্বরজুড়ে থাকবে ছয়টি মোবাইল ক্যাশ ভ্যান। ক্যাশ ভ্যানগুলো থেকে প্রতিদিন কার্ডপিছু দুই হাজার রুপি সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া রুপির সমস্যা মেটাতে বইমেলার বেশির ভাগ স্টলে থাকবে পয়েন্ট-অব-সেল (পিওএস) মেশিন। কার্ড সোয়াইপ করেই বইয়ের দাম মেটানো যাবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের সুবিধার জন্য থাকছে এসবিআই-এর ওয়ালেট পেটিএম ব্যবস্থা। ইন্টারনেটের সুবিধার জন্য বইমেলা প্রাঙ্গণজুড়ে থাকবে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সেবা।
গত বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বই বিক্রি হয়েছিল প্রায় ২৫ কোটি রুপি। এবার সেই হার যাতে না কমে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নোট বাতিলের সমস্যার মধ্যেই এই মেগা ইভেন্টকে আকর্ষণীয় করতে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আশা করছি, এ বছরও বইমেলায় বিক্রির হার কমবে না।’