২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | দুপুর ১:৪২
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় মুন্সিগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মশালা
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৭ জানুয়ারি, ২০২১, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং ডেঙ্গু মোকাবেলায় মুন্সিগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ।

এসময় সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, করোনায় এ পর্যন্ত জেলায় ৬৯ জনের মৃত্যু এবং ৪৩৮৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সিভিল সার্জন বলেন, দ্বিতীয় ঢেউ যথাযথ মোকাবিলা করা গেলে জেলাবাসীকে সুরক্ষা করা যাবে। তাই এখন থেকেই সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। ২০২০ সালে জেলায় কোন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া না গেলেও সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।

করোনা ও ডেঙ্গু প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন অফিসের জুনিয়র কনসালটেন্ট  ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং মেডিক্যাল অফিসার ডা. দেবরাজ মালাকার কর্মশালায় তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে মাল্টিমিডিয়া সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

সিভিল সার্জন সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি কি করণীয়, স্বাস্থ্য সচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক ও বার বার সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ব্যাপারে তাগিদ দেন তিনি। এ ছাড়া সনাক্ত হওয়া ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও তার উপর নির্ভর না করে উপসর্গগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ তিনি।

করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর ব্যাপারেও সতর্ক হওয়ার আহবান জানিয়ে এর প্রকারভেদ, ধরণ, করণীয় এবং ডেঙ্গু সংক্রমন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

সিভিল সার্জন জানান, করোনার ভ্যাকসিন জেলায় সরবরাহ হওয়া মাত্র সরকারি বিধি অনুযায়ী মানুষকে টীকা প্রদান করা হবে।

কর্মশালাটিতে অংশ নেয়া সংবাদকর্মীরা করোনার রিপোর্টে নানা রকম অসামঞ্জস্যতা নিয়ে প্রশ্ন করে বিষয়গুলো স্পষ্ট করেন। একই সাথে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা, জেনারেলের হাসপাতালের নতুন ভবন চালু না হওয়া এবং করোনা পরীক্ষার জন্য পিসি আর ল্যাব স্থাপন নিয়েও আলোচনা হয়।

error: দুঃখিত!