মুন্সিগঞ্জ, ১ এপ্রিল, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে ফের বেড়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। গতকাল (৩১ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গেছে সারাদেশের মধ্যে উচ্চ সংক্রমণ বাড়ছে যে কয়টি জেলায় তার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মুন্সিগঞ্জ জেলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই।
গত বছরের ২ জুন একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রতিটি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর স্থাপন এবং উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা বাড়াতে বলেন তিনি। এ জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার নির্দেশও দেন। এর আগে গত বছরের ২৭ এপ্রিল দেশের সব জেলায় আইসিইউ স্থাপন করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তবে তার সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে মুন্সিগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার (৩১ মার্চ) পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৭৩০ জনের। এর মধ্যে শুধুমাত্র গতকাল একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩০ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮ জন, টংগিবাড়ী উপজেলায় ৫ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৫ জন, লৌহজং উপজেলায় ৩ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৩ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ২ জন।
শুরু থেকে আজ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৯ জন। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছেন ২৩৯৮৮ জন। যা মুন্সিগঞ্জের মোট জনসংখ্যার মাত্র ০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মুন্সিগঞ্জে গতকাল পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৫০৩ জন। হাসপাতাল ও বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৪৩ জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, খবরটি বেশ উদ্বেগজনক। আমরাও জরুরীভাবে বিষয়টিকে নিয়েছি। সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সকল সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সবাই প্রস্তুত আছি।
আইসিইউ সম্পর্কে তিনি বলেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে জেলা পর্যায়ে আইসিইউ ইউনিট করার মতো যন্ত্রপাতি, শয্যার ব্যবস্থা করা সম্ভব। কিন্তু আইসিইউ পরিচালনা করতে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স প্রয়োজন। জেলা পর্যায়ে আইসিইউ ইউনিট করার মতো লোকবলের অভাব রয়েছে।
গতবছরের ১১ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জে প্রথম একসাথে দুই নারীসহ দশজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। তখনও উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে প্রথমদিকেই ছিলো মুন্সিগঞ্জের নাম।