কফি ও চা নিয়ে একেক জনের মাঝে একেক রকম মতামত দেখা যায়। কেউ কফি ছাড়া ঘুম কাটাতেই পারেন না, কারো আবার সকাল সকাল চা না হলে দিনটাই খারাপ যায়। কফির অনেক উপকারিতা থাকলেও এর একটি সমস্যা হলো, তাতে প্রচুর ক্যাফেইন থাকে এবং নিয়মিত কফি পানের অভ্যাস হয়ে গেলে শরীর এই ক্যাফেইনের প্রতি আসক্ত হয় পড়ে।
আপনারও এমন ক্ষতিকর আসক্তি আছে কি না, তা দেখার জন্য এক সপ্তাহ কফির বদলে চা পান করতে পারেন। যেকোনো চা নয়, গ্রিন টি, যাতে ক্যাফেইন থাকে খুব অল্প পরিমাণে। ছোট এক কাপ কফিতে ক্যাফেইন থাকে ৬৫ মিলিগ্রাম, অন্যদিকে গ্রিন টিতে থাকে ২০ মিলিগ্রাম।
লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট পপসুগারের লেখিকা জেনি সুগার এই কাজটি করেন। এক সপ্তাহের জন্য কফি বাদ দিয়ে গ্রিন টি পান শুরু করেন তিনি। মূলত ক্যাফেইন আসক্তির ঝুঁকি কমানোর কারণেই এ কাজটি তিনি করেন। প্রথম দিন তিনি খেয়ালই করেননি কফির বদলে চা পান করছেন। তবে প্রথম তিন দিন অদ্ভুত এক মাথাব্যথা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। তিনি বুঝতে পারেন, ক্যাফেইনের পরিমাণ কমানোর কারণেই তার এই মাথাব্যথা হচ্ছে। তিনি খুব কম পরিমাণে কফি পান করতেন এর আগে, তাতেই তার শরীর ক্যাফেইনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল এবং তার অভাবে মাথাব্যথা দেখা যায়। তবে মাথাব্যথা হলেও তিনি দেখেন, সারা সপ্তাহ কফি ছাড়াই চাঙ্গা ছিলেন তিনি।
আরেকটি সুবিধা হলো, পেটের সুস্থতা। অনেকের মতো জেনি সুগারও সকালে খালি পেটে কফি পান করতেন। এ কারণে মাঝে মাঝে পেটে ব্যথা হতো, জ্বালাপোড়া হতো। গ্রিন টি পান করায় তার পেটে কোনো সমস্যা দেখা দেয় না।
ওম্যানসহেলথম্যাগ ওয়েবসাইটের লেখিকা জেমি হার্গেনর্যাডার একই কাজ করেন। এক সপ্তাহের জন্য কফি বাদ দিয়ে গ্রিন টি পান করেন তিনি। প্রথম দিন ক্যাফেইনের অভাবে বেশ ভোগেন তিনি। ঘুম ঘুম ভাব থেকে যায় সারাদিন, ব্যায়াম করার পরেও এই ক্লান্তি কাটে না। এ ছাড়া তিনি গ্রিন টি’র স্বাদটাকেও তেমন পছন্দ করেননি। তবে এই অভিজ্ঞতার ফলে তিনি বুঝতে পারেন আসলেই ক্যাফেইনের ওপর তার শরীর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যা আসলে স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ।
এই দুই লেখিকার মতো আপনিও এক সপ্তাহ কফির বদলে গ্রিন টি পান করে দেখতে পারেন ক্যাফেইনের ওপর আপনি নির্ভরশীল কি না। এ সময়ে গ্রিন টি থেকে যে উপকারী অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাবেন, তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়া অনেকে ওজন কমাতেও গ্রিন টি পান করেন।
সূত্র: পপসুগার, ওম্যানসহেলথম্যাগ