বিয়ের পর কয়টি সন্তান নেবার ইচ্ছে আপনার? একটি, দুটি বা তিনটি? তাহলে সন্তান নেবার জন্য সবচাইতে ভালো সময় কোনটি?বর্তমানে অনেকে দম্পতিই ক্যারিয়ার এবং জীবনের অন্যান্য দিক গুছিয়ে নেবার উদ্দেশ্যে সন্তান নিতে চাইছেন অনেক দেরি করে। কিন্তু বেশি দেরি করে ফেললে আবার বয়সের কারণে সন্তান ধারণ হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনিশ্চিত। তাহলে কি করা যেতে পারে?
নেদারল্যান্ডসের এক সাম্প্রতিক গবেষণা এ ব্যাপারে আলোকপাত করতে পারে। নারীর গর্ভধারণের জন্য সর্বোচ্চ বয়স শনাক্ত করার চেষ্টা করেন তারা। সেই নারী কতটি সন্তানের জন্ম দিতে চান অথবা উর্বরতা কমে গেলে কৃত্রিমভাবে সন্তান ধারণ করতে তিনি ইচ্ছুক কিনা এসব বিষয় মাথায় রেখে গবেষনাটি পরিচালিত হয়। বয়সের সাথে পুরুষের উর্বরতাও কমে যায় তবে নারীর মতো এতো বেশি না। মোটামুটি ৬০ বছর বয়সে পুরুষদের উর্বরতায় ভাটা পড়ে। এ কারণে গবেষণায় নারীর বয়সের ওপরেই জোর দেওয়া হয়।
দেখা যায়, কমপক্ষে একটি সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে আছে এবং কৃত্রিম গর্ভধারণের ইচ্ছে নেই এবং নারীদের বয়স ৩২ হবার আগেই গর্ভধারণের চেষ্টা করা উচিত। একইভাবে দুইটি সন্তান ধারণের ইচ্ছে থাকলে ২৭ বছরের মাঝেই চেষ্টা করা উচিত।
তবে সেই দম্পতি যদি ওঠঋ ব্যবহারে ইচ্ছুক থাকেন তবে আরও দেরি করে গর্ভধারণ করলে কোনো সমস্যা নেই। একটি সন্তানের জন্য তারা ৩৭ বছর বয়সেও গর্ভধারণের চেষ্টা শুরু করতে পারেন। দুইটি সন্তানের জন্য ৩৪ বছর বয়সে এবং ৩টি সন্তানের জন্য ৩১ বছর বয়সে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে হবে বলে দেখা যায়।
সর্বোপরি দেখা যায়, এই গবেষণা সেসব দম্পতির জন্য সুখবর হতে পারে যারা শুধুমাত্র একটি সন্তান নিতে চান।
তবে গবেষকেরা এটাও বলেন যে বাস্তব জীবনে গবেষণার ফলাফল প্রয়োগ করাটা কঠিন। একজন নারী যদি বিয়ের পর তিনটি সন্তান নিতে চান তবে ডাক্তার তাকে বলতে পারেন না “বয়স ২৭ হবার আগেই বিয়ে করে ফেলো”। কারণ এ সবই একজন মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, গর্ভধারণের উপযুক্ত বয়স সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে অনেকেরই। অনেক নারীই ভাবেন ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত তারা নিশ্চিন্তে গর্ভধারণ করতে পারবেন। এমনকি ৪০ বছর বয়সী নারীরাও গর্ভধারণ করতে চান। কিন্তু সত্যি কথা হলো ৪০ বছর বয়সের মাঝে ৬০ শতাংশ নারীর ডিম্বাণু অস্বাভাবিক হয়ে যায়।