১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ১০:১১
ওমর ফারুক এর প্রবন্ধ: আবুল মনসুর আহমদের ছোটগল্পে প্রথাবিরোধী চিন্তার ধারণা
খবরটি শেয়ার করুন:

ছোটগল্পের উদ্ভব হয়েছে উনিশ শতকে। এর উদ্দেশ্য কেবল রস সৃষ্টি নয়; বৈচিত্র্যময় জীবনের রূপ-স্বরূপও তাতে ফুটে উঠে। এতে লেখকের শিল্পীমান সক্রিয় থাকে এবং জীবনের নানা রহস্য উদঘাটিত হয়।

সাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রাণবন্ত শাখা হচ্ছে ছোটগল্প। আকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণে উপন্যাস ও বড় আকারের গল্পের তুলনায় আধুনিক ব্যস্ত মানুষের কাছে ছোটগল্প প্রিয় হয়ে উঠেছে।

ছোটগল্পের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, –
“ছোটগল্প হচ্ছে প্রতীতিজাত একটি সংক্ষিপ্ত গদ্য- কাহিনি যার এক তম বক্তব্য কোন ঘটনা বা পরিবেশ বা কোন মানসিকতাকে অবলম্বন করে ঐক্য- সংকটের মধ্যদিয়ে সমগ্রতা লাভ করে।”

ছোটগল্পের আকৃতিগত বিষয় বিবেচনা মুখ্য নয়, বরং প্রকৃতিগত ও মর্মগত দিক বিচার করেই ছোটগল্পকে সাহিত্যের অন্যান্য শাখা থেকে আলাদা করা হয়। ছোটগল্পের ভাষা সহজ-সরল, ব্যঞ্জনাধর্মী, সংবেদনশীল। যদিও এর আকার স্বল্প, তারপরও এর রেস বা আবেদন সুদূর প্রসারী।

ছোটগল্পের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষ ও সমাজ, বৃহত্তর অর্থে দেশ ও জাতি। বাস্তবের চিত্রায়ণ অপরিহার্য হলেও শুধু বাস্তবতাই ছোটগল্পের সার্বভৌম বিষয় বলে মনে করা উচিত নয়।এতে কল্পনার আদর্শায়নের উপযোগিতা রয়েছে। সমাজ, সংসার, ব্যক্তি জীবনের জটিল-কুটিল-বিশ্রী বিষয়গুলো অবলীলায় স্থান করে নেয়।

বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশের সাথে ছোটগল্পের উদ্ভব জড়িত। বাংলাসাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্প লিখেন স্বর্ণকুমারী দেবী। তারপর নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত (১৮৬১-১৯৪০), প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় (১৮৭৩-১৯৩২), ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় (১৮৪৭-১৯১৯), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১), প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮-১৯৭১), বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৬-১৯৮৭), কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬), আবুল মনসুর আহমদ (১৮৯৮-১৯৭৯) প্রমুখ ছোটগল্পকার এ শাখাটির বিকাশ ঘটান।

ছোটগল্পের একটা বৈশিষ্ট্য হলো হাস্যরসের মাধ্যমে কশাঘাত করা। আর এ ধারার সবচেয়ে সফল প্রয়োগ ঘটেছে আবুল মনসুর আহমদের রচনায়। তাঁকে জানতে হলে, তাঁর রচনার শিল্পগুণ নিরূপণ করতে হলে তাঁর সময়কাল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।

তিনি কোন সময়ে, কোন অবস্থায়, কাদের নিয়ে সাহিত্যচর্চা করেছেন সেসব জানা জরুরী। আবুল মনসুর আহমদ কেন আমাদের সমাজের, সাহিত্যের বিপরীত স্রোতে গিয়ে লিখলেন, কেন তিনি সমাজের উঁচু অবস্থানে থেকেও সমাজপতিদের স্ববিরোধী চরিত্র চিত্রিত করলেন এসব না জেনে তাঁর সৃষ্টিকর্মের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়।

আবুল মনসুর আহমদের নানা পরিচয়। তিনি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক। সমাজের উপরতলার লোক তিনি। সমাজের এতো উপরে থেকে সমাজের অসংগতি দেখা যেমন কষ্টসাধ্য আবার সহজও বটে। বাস্তবতা হলো সমাজের উপরতলায় বসে সমাজের সঠিক চিত্র অঙ্কন করা যায়না। কিন্তু সে কঠিনতম বিষয়টি আবুল মনসুর আহমদ করেছেন অবলীলায় এবং নির্বিঘ্নে।

নিজের লেখা আত্মকথায় লিখেছেন-
“টুপি ছাড়া আমি কোথাও যাইতাম না, স্কুলে-মকতবে তো নয়ই। ক্লাসে কখনও মাথা হইতে টুপি নামাইতাম না। আমার টুপিটা ছিল লাল তুর্কী টুপি।”

আত্মকথা থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায় কেমন পরিবেশে তিনি জন্মেছিলেন। তাঁর পূর্ব পুরুষ ওয়াহাবি -ফরায়েজী আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বাড়িতে সব সময় সে পরিবেশ বজায় ছিল। আর এ কারণে তাঁর মধ্যে জেহাদি মনোভাব ও ধর্মীয় গোঁড়ামি দানা বাঁধে।এবং জেহাদে যাওয়ার জন্য তাঁর  মন ব্যাকুল হতো। এ কথা তিনি আত্মজীবনীতে স্বীকার করেছেন।

হানাফি -মোহাম্মদী মুসলমানের দ্বন্দ্ব তাঁকে জেহাদি চেতনায় বিভ্রান্ত করতো। 
নয় বছর সময়কাল হতে আবুল মনসুর আহমদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা পরিলক্ষিত হয়। ধনবাড়ি থেকে তিনি লোকদের সংগঠিত করেন। জমিদারের প্রচলিত খাজনা আদায়ে এবং খান বাহাদুরদের প্রজা পীড়নের প্রতিবাদ তখন তিনি করেছেন।এভাবে তাঁর মধ্যে প্রতিবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে। ১৯৩৩ সালে তিনি রাঁচি কংগ্রেস সম্মেলনে যোগ দেন।১৯৩৪ সালে কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি মৌলবি এ.কে. ফজলুল হকের প্রজা সমিতির প্রার্থী নবাবজাদা হাসান আলীর পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেন।

এতো কাসুন্দি ঘাটাঘাটি করার একটাই কারণ,  তা হলো আবুল মনসুর আহমদের সময়কাল সম্পর্কে ধারণা লাভ। যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে তিনি সমাজের, সমাজের মানুষের ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করেছেন তার একটা মানচিত্র খুঁজতে যাওয়া।

আবুল মনসুর আহমদ ব্যঙ্গশিল্পী। “আয়না”(১৯৩৫), “ফুড কনফারেন্স ” (১৯৪৪), “হুযুর কেব’লা”, ” আসমানী পর্দা” প্রভৃতি ছোটগল্পগ্রন্থ লিখেছেন। “আয়না” (১৯৩৫) যখন প্রকাশিত হয় তখন তিনি প্রজা সমিতির সদস্য, এবং ঋণ সালিসি বোর্ডের জন্য প্রস্তাব রচনা করছেন। অপরদিকে কোম্পানি ভারত শাসন আইন (১৯৩৫) পাশ করেছে।

তিনিও রাজনীতিতে নবীন নেই। তাঁকে লোকজন “মনসুর সাব” বলতে শুরু করেছে।নেতৃস্থানীয় অবস্থানে থেকে তিনি সমাজ ও সমাজপতিদের চিত্র অঙ্কন করলেন “আয়নায়”। সে আয়নায় ব্যঙ্গাত্মক মনোভাবের মধ্যে নেতাদের ব্যক্তি চরিত্র মূর্ত হয়ে উঠলো।

মানুষের কপটতা, ভণ্ডামি, অসততা, সুবিধাবাদ,ক্ষমতার লোভ-মোহ এবং মানুষের বিচিত্র অসঙ্গতিকে ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিকোণ থেকে রূপদান করেছেন আবুল মনসুর আহমদ।

সমাজের উপরতলার মানুষ হয়েও তিনি প্রচলিত প্রথার বিরুদ্ধে লিখলেন।
আয়নাতে ” লীডারে- কওম”, “নায়েবে নবী “, ” মুজাহেদিন, “বিদ্রোহী সংঘ” শিরোনামের গল্পগুলো চিন্তার খোরাক জোগায়। সে সময়ে তিনি যে সমাজ চিত্র অঙ্কন করেছেন সে সমাজ আজও বর্তমান। সে সমাজের মানুষগুলো আজও আমাদের চারপাশে বিরাজ করছে সগৌরবে।

আয়না প্রকাশ হলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন-
“যে সমস্ত মানুষ হরেক রকমের মুখোশ পরে আমাদের সমাজে অবাধে বিচরণ করছে, আবুল মনসুরের আয়নার ভেতরে তাদের স্বরূপ মূর্তি বন্য ভীষণতা নিয়ে ফুটে উঠেছে। মানুষের মুখোশপরা এই বহুরূপী বনমানুষগুলোর সবাইকে মন্দিরে,  মসজিদে, বক্তৃতার মঞ্চে,  পলিটিকসের আখড়ায়, সাহিত্য- সমাজে যেন বহুবার দেখেছি বলে মনে হচ্ছে।”

স্রোতের বিপরীতে গিয়ে তিনি লিখেছেন। সাহিত্যে তোষামোদ,  ফুট-ফরমায়েশের জায়গায় নেই এ সত্য তাঁর লেখায় প্রতিভাত হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিচরিত্রের বৈপরীত্যে তাঁর লিখনিতে প্রতিভাত হয়ে উঠেছে। সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম সোচ্চার হয়েছেন।প্রচলিত প্রথা ভেঙে তিনি নতুন বিশ্বাসের বীজ বপন করেছেন।

ধর্মের বিষবৃক্ষ উপরে ফেলার চেষ্টা করেছেন। ধর্মব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা পীরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লিখেছেন “হুযুর কেব’লা।” পীরবাদের আড়ালে পীরদের ধর্মব্যবসা আর নারী লোলুপতার মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছেন।

সমাজের জমিদার, জোতদার শ্রেণি কিভাবে শোষণ, নির্যাতন কায়েম রাখে তার চিত্র অঙ্কন করেছেন “ফুড কনফারেন্স ” গ্রন্থের “জনসেবা য়ুনিভার্সিটি”,” জমিদারি উচ্ছেদ “নামক গল্পে।

এসব গল্পে তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে নেতারা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য জনসেবার নামে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তোলে। কিভাবে রিলিফের চাল, ডাল, টিন আত্মসাৎ করে, কিভাবে “গ্রো মোর ফুড “কর্মসূচি চালু রাখে অনন্তকাল। কেন তারা সমাজ, রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধান করেনা। এসব সমস্যার বাস্তব অথচ নির্মম কারণ উপস্থাপন করেছেন আবুল মনসুর আহমদ। 

জনসেবার নামে আত্মসেবা আর ভাগ্যোন্নয়নের সরস কাহিনী চিত্র অঙ্কিত হয়েছে ” জনসেবা য়ুনিভার্সিটি” গল্পে।”জমিদারি উচ্ছেদ” গল্পে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী ভণ্ড রাজনীতিককে ব্যঙ্গ করা হয়েছে।

ভণ্ড নেতার মনোবৃত্তি থেকে সে সময়কার চিত্র স্পষ্ট হয়-
“জমিদারি উচ্ছেদ করতে পারিনি বটে, কিন্তু জমিদারকে কাবু করে ফেলেছি। ওর বুকে চড়ে বসেছি, জমিদারি দখল করেছি। তোমরা প্রজা, আমি তোমাদের প্রতিনিধি, আমার জমিদারি দখল মানে প্রজার জমিদারি দখল করা।”

“সায়েন্টিফিক বিযিনেস” গল্পে রচিত হয়েছে দুর্ভিক্ষকালীন সময়ে বাঙালির ব্যবসাকেন্দ্রীক অসৎ চরিত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যারা কালোবাজারি আর মুনাফাখোরী করেছে তাদের মুখোশ তিনি উন্মোচন করেছেন। অসময়ে যারা খাদ্য সংকট সৃষ্টি করে, পণ্যের দাম বাড়িয়ে মওজুদদারী করে তাদের স্বরূপ তুলে ধরেছেন। এসব কপট, অসাধু লোকদের ব্যঙ্গ করেছেন।

অসাধু ব্যবসায়ীদের মুখ দিয়ে সমাজের চিত্র এঁকেছেন –
“আপনারা যাকে খাদ্য সমস্যা বলছেন, ওটাকে আমি সমস্যা হিসেবে দেখছি না- ওটা আসলে একটা মূল্যবৃদ্ধিমাত্র। জিনিসের দাম বাড়ে দেশবাসীর ক্রয়শক্তি বৃদ্ধি পেলে।আমাদের দেশে চালের দাম বেড়ে চার টাকার জায়গায় চল্লিশ টাকা মণ হয়েছে,  তাতে বুঝতে হবে বাঙালির ক্রয়শক্তি দশগুণ বেড়ে গেছে।”

সমাজ, রাষ্ট্রের সমস্যা নিয়ে এতো স্পষ্ট বক্তব্য কারও লেখনীতে পাওয়া যায়না। ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে তিনি শুধু কশাঘাতই করেননি, বিশেষ রসেরও সঞ্চার করেছেন।কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে নিয়ে অথবা আক্রমণ করে আবুল মনসুর আহমদ ব্যঙ্গ রচনা লেখেননি। ফলে তাঁর রচনায় লেম্পুন, ইনভেকটিভ অথবা কুৎসা কাহিনির ঠাঁই নেই।

আবুল মনসুর আহমদ স্যাটায়রিস্ট ছিলেন, হিউমারিস্ট ছিলেন না। হিউমারিস্টের সংবেদনশীল দৃষ্টি স্যাটায়রিস্টের থাকে না। আবুল মনসুরের হাসি মৃদু এবং অনুচ্চ নয়।[প্রাক-সাতচল্লিশ ছোটগল্প, বাংলাদের ছোটগল্পের শিল্পরূপ ]। প্রচলিত প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে, বিপরীত স্রোতে গিয়ে সমাজ নির্মাণ সহজ কাজ নয়। তিনি আমাদের সমাজের ব্যক্তিচরিত্রের কপটতা, ভণ্ডামি, অসাধুতাই শুধু তুলে ধরেননি, সেই সাথে এর থেকে মুক্তির উপায় নির্দেশ করেছেন। তাঁর মতোই তাঁর রচনা বর্তমানেও প্রাসঙ্গিক। আজ আমরা সমাজের দিকে তাকালে এ সত্য বেশি করে অনুভব করতে পারি।

তিনি উনিশ শতকে যে সমাজের চিত্র অঙ্কন করেছেন সে সমাজের মানুষগুলো আজও আমাদের চারপাশে আছে সদর্পে। তাদের চরিত্রের কোনই হেরফের হয়নি। সমাজে থেকে তারা সমাজের সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে ব্যক্তিস্বার্থের জন্য।

আবুল মনসুর আহমদের প্রথা বিরোধী রচনা আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি সে সময়ে বসে যে সমাজের চিত্র অঙ্কন করেছেন,  তিনি যে গরুয়ে বাংলা, সিংগিয়ে বাংলা, গাধায়ে বাংলার কথা রূপক অর্থে বলেছেন সে বাংলা আজও বর্তমান।

সে বাংলায় মুনাফাখোর, ধর্মব্যবসায়ী, চরিত্রহীন নেতা, ভণ্ড-কপট লোকে গিজগিজ করছে। প্রথা বা প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে আবুল মনসুর আহমদ চিন্তা করেছেন।ছোটগল্পের চিরাচরিত রূপ তিনি বজায় রেখে তার মধ্য নতুনত্ব এনেছেন।

কবি নজরুল বলেছেন-
“সে ব্যঙ্গ যখন হাসায় তখন হয় সে ব্যঙ্গ। কিন্তু কামড়ায় যখন, তখন হয় সে সাপ; আর সে কামড় গিয়ে যার গায়ে বাজে তার মুখের ভাব হয় সাপের মুখে ব্যাঙের মতই করুন। “
ব্যঙ্গ আর হাস্যরসের মধ্যদিয়ে তিনি সমাজের বাস্তবরূপ তুলে ধরেছেন। যে কাজ তাঁর আগে বা পরে কেউ করতে সাহস দেখাননি। কেউ প্রথা ভাঙতে চাননি, কেউ স্রোতের বিপরীতে যেতে চাননি। আর এ কারণেই তিনি সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

লেখক: ওমর ফারুক

error: দুঃখিত!