৬ আগষ্ট, ২০১৮
আমার বিক্রমপুর
শিহাব আহমেদঃ জীবনের নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে জীবনপন লড়েও ভাগ্য সহায় হয়নি মুন্সিগঞ্জের জোবেদার। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো প্রতারণার ফাদে পড়ে কাটিয়ে দিয়ে সর্বশান্ত হয়ে চলে গেছেন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে।
অবশেষে নিরাপদ অভিবাসনের উপর কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) এর সহায়তায় লেবাননে মারা যাওয়া মুন্সিগঞ্জের জোড়ারদেউলের জোবেদা বেগমের (৩৭) লাশ ৩ মাস পরে দেশের স্বজনদের কাছে ফিরে এসেছে।
জোবেদা বেগমের মা জানান, পরিবারের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করতে প্রায় ৯ বছর আগে স্থানীয় আদম ব্যবসায়ীর মাধ্যমে লেবাননে পাড়ি জমান জোবেদা। এরপর মালিক ঠিকমতো বেতন ও সুবিধাদি না দেওয়ায় অন্যত্র চলে যায় জোবেদা। প্রতারনার শিকার জোবেদার দিন এভাবেই কাটছিলো । কিন্তু হঠাৎ করেই গত জুলাইয়ে খবর আসে জোবেদার মৃত্যু সংবাদের। পরিবারের একমাত্র মেয়ের মৃত্যু সংবাদে ভেঙে পড়েন সবাই। কিন্তু পৃথিবীর চিরায়ত এই কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিতে হয় সবার।
জোবেদার দুলাভাই জানান, লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও সংস্থার কাছে ছুটতে থাকে জোবেদার পরিবার। একপর্যায়ে ওকাপের স্থানীয় পর্যায়ের একজন কর্মীর কাছে জানতে পেরে যোগাযোগ করলে ওকাপ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে ৩০দিনের মধ্যে লাশ দেশে নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
ওকাপের মাঠ কর্মকর্তা জনাব ইউজিন ম্রং ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, ওকাপ ২০১৩ সাল থেকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় কাজ করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪-১৫ টি লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও লাশের সাথে সরকার প্রদত্ত ক্ষতিপূরণ এবং ওকাপের নিজস্ব তহবিল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বাবদ নগদ অর্থ সহায়তাও করা হয়েছে।