৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | রাত ১২:১৬
এবার ম্যান্ডেলা, বিল ক্লিনটনদের উত্তরসুরী হলেন বিক্রমপুরের অনন্ত জলিল
খবরটি শেয়ার করুন:

ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অন এইডস ইন এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক (আইকাপ)এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর এশিয়া ও মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে থাকেন বিশ্বের বড় বড় তারকারা। নেলসন ম্যান্ডেলা, বিল ক্লিনটনসহ অনেক বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন। এবার তাদেরই উত্তরসুরী হিসেবে দেখা যাবে অনন্ত জলিলকে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ICAAP12 অনুষ্ঠানের গুড উইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মনোনীত হলেন তিনি। আজ গণমাধ্যমের কাছে অনন্ত জলিলের নাম ঘোষণা করেন আইকাপ কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে অনন্ত জলিলকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আইকাপ-এর অনুষ্ঠানসূচিও ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ আইকাপ ১২-এর সম্মেলন আয়োজনের জন্য মনোনীত হয়েছে। প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলন আয়োজন করবে বাংলাদেশ। এ দেশে অনুষ্ঠিতব্য বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন আগামী ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

এতে প্রায় ২৫০০ বিদেশি প্রতিনিধি ও ২৬টি দেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী মহোদয়গণের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ১২ তম এ সম্মেলনের মূখ্য প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘বি দ্য চেঞ্জ ফর এন এইডস্ ফ্রি জেনারেশন, আওয়ার রাইট টু হেলথ’।

এ প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমি এদেশের একজন দায়িত্ব সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে এখানে এসেছি। আমাদের দেশে এইডস এর কবলে অনেক নারী পুরুষের জীবন বিধ্বস্ত হচ্ছে। আমি তাদের সচেতন করার জন্য এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।’

আইকাপ সম্মেলনকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় নীতিনির্ধারক ফোরাম হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন বিজ্ঞানী, গবেষক, নীতিনির্ধারক, স্বাস্থ্যকর্মী সকলের সমাগম হয়, তেমনি গবেষণা, বৈজ্ঞানিক অর্জন ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। তাছাড়াও এ অঞ্চলের সমস্যা, বিনিয়োগ এবং সম্মিলিত কাজ করার প্রয়াস থেকে যৌথ প্রতিশ্রতি উঠে আসে এ সম্মেলনের মাধ্যমে।

উল্লেখ্য, এ অনুষ্ঠানটি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলসহ সারা বিশ্বে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক অঙ্গীকার অর্জন, এডভোকেসি, নেটওয়ার্ক শক্তিশালকিরণ ও এইচআইভি এইডস সম্পর্কিত জ্ঞান আদান-প্রদানে মূল ভূমিকা পালন করছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে এইচআইভিএইডস্ সংক্রান্ত জনগোষ্ঠি ও অন্যান্য স্টেক হোল্ডারগণ উপকৃত হন।

১৯৯০ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।প্রতি ২ বছর পর পর এ অঞ্চলের যে কোন একটি রাষ্ট্রে এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে এটি মালয়েশিয়া, জাপান, ফিলিপিন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা ও ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১টি আইকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সর্বশেষ ২০১২ সালে ১১তম আইকাপ থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়।

error: দুঃখিত!