আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান হাজ্বী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন। মুন্সিগঞ্জ শহরের উত্তর কোর্টগাও এলাকার মৃত হেলাল উদ্দিন এর ছেলে গোলাম মাওলা তপনের আদি বাড়ি পঞ্চসার ইউনিয়নের রামেরগাও গ্রামে।
সাবেক আইন বিভাগের এই ছাত্র ও বর্তমানে আইন পেশায় জড়িত স্বচ্ছ ছাত্র রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত গোলাম মাওলা তপন কথা বলেছেন ‘আমার বিক্রমপুর’ এর সঙ্গে।
গোলাম মাওলা তপন জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালে মুন্সিগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে তার রাজনীতির পথচলা শুরু। এরপর ১৯৮৮ সালে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯০ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য এবং ২০০৩ থেকে ২০১২ পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘আমার বিক্রমপুর’ এর কাছে হাজ্বী তপন বলেছেন, ‘২০০৩ সালে আমি যখন মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব নেই তখন ক্ষমতায় ছিলো বিএনপি-জামায়াত। শুধুমাত্র ছাত্রলীগ করার অপরাধে আমাকে হয়রানির করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দেয়া হয়। আমার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। সেই বিভীষিকাময় হামলার পর থেকে আমার মা আজও হৃদরোগে আক্রান্ত’
তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আমি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আর আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি মুন্সিগঞ্জ সদরের চলমান নাগরিক সমস্যা নিরসনে আরও জোড় দিবো’
‘আমার বিক্রমপুর’ এর সাথে হাজ্বী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন এর আলাপের কিছু অংশঃ
বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা হলেও গোলাম মাওলা তপন পঞ্চসারের সন্তান। তিনি সেখানকার বিভিন্ন সামাজিক কমিটির দায়িত্বেও আছেন। তিনি বর্তমানে পঞ্চসার ইউনিয়নের রামেরগাও জামে মসজিদের সভাপতি। এছাড়াও মাঝিবাড়ি ঈদগাহ্ খেলার মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও পদচারণা রয়েছে সাবেক এই ছাত্রনেতার। তিনি বর্তমানে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি।
এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্য, মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া উন্নয়ন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা। হরেগঙ্গা পাবলিক লাইব্রেরি আজীবন সদস্য। জেলা রেডক্রিসেন্ট এর আজীবন সদস্য। বঙ্গবন্ধু স্পোর্টি ক্লাবের সভাপতি। ডায়াবেটিকস হাসপাতালের আজীবন সদস্য। শতায়ু সংঘের যুগ্ম সম্পাদক।