১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | দুপুর ১:২২
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
উন্নত-সমৃদ্ধ, মানবিক-কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ মুন্সিগঞ্জ গঠনে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস উন্নত-সমৃদ্ধ, মানবিক-কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ মুন্সিগঞ্জ গঠনে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর সদর উপজেলার রামপাল, বজ্রযোগিনী ও পঞ্চসার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রামপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম বেপারি, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইদ হাসান সানী, হযরত আলী লিটন, আলী আজগর ব্যাপারি, আব্দুর রব, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারউজ্জামান রাজিব, জামিউল ইসলাম বাপ্পী, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আই এইচ শান্তনুর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল আজম বাবর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী চানমিয়া দপ্তরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মেহেদী হাসান মিশু প্রমুখ।

মৃণাল কান্তি দাস বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মানবিক ও কল্যাণকর বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নযাত্রা কাক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণের জীবনমান উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার বহু মাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল লক্ষ্যই হলো জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি ও উন্নয়ন সাধন।

সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ে ১০ কোটি সাধারণ মানুষ আজ উপকারভোগ করছে। বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমলের চেয়ে ৫০ গুণের বেশি। আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৬ লক্ষ ৭৭ হাজার দরিদ্র পরিবারকে সংগঠিত করে স্থায়ীভাবে দারিদ্র্য বিমোচন করতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১০০টি শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দিয়ে ৫০ লক্ষাধিক পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩২টি জেলা ও ৩৯৪টি উপজেলা গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। অচীরেই দেশের সকল গৃহহীন মানুষ ঘর পাবে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষাখাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ১ম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত অর্থাৎ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদান করে সকলের জন্য শিক্ষা গ্রহণের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করে এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ছেলে-মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা প্রদানের জন্য এক হাজার কোটি টাকার ‘প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’ ফান্ড গঠন করে শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায়ের ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স এর সমমান প্রদান করা হয়েছে। ৮ হাজার ২১৭টি বেসরকারি মাদ্রাসা এবং ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩ জন শিক্ষক/কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ১০৩৬ মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ৪৯৩ মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় যুবদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। যুব উন্নয়ন, আইসিটি বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আওতায় তরুণ সমাজকে নানামুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৩ কোটির বেশি নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রবাসী কর্মীদের জন্য জীবন বীমা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

error: দুঃখিত!