মুসলিম ধর্মালম্বীদের জন্য ঈদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জ্বল অংশ।
পবিত্র রমজান মাসজুড়েই রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্ঠানদের মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতার সংবাদ দেশীয় গণমাধ্যমের পাশাপাশি আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমেও গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী অবস্থান পোক্ত হয়েছে।
দেশব্যাপী অব্যাহত গুপ্তহত্যা-সন্ত্রাস বিশেষত রাজধানী ঢাকার গুলশানে, শোলাকিয়ায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, পাবনা, নাটোর, ঝিনাইদহ, চট্রগ্রাম, রাঙ্গামাটিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং ইসলাম ধর্মালম্বী নিরীহ মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের স্বজন, ধর্মীয় যাজক ও পুরোহিতকে যে কায়দায় প্রাণ দিতে হয়েছে তা যে কোন সাধারণ নাগরিককেই প্রবলভাবে ভাবিয়ে তোলে।
তবুও আমরা আশাবাদি, ঈদ আগমনীতে ভেসে যাক সকল প্রতিহিংসা, প্রতিশোধপরায়ণতা, হানাহানি-নিষ্ঠুরতা আর নির্মমতা।
দীর্ঘ ১মাস সিয়াম সাধনা ও সকল প্রকার ইবাদাতে মশগুল হওয়ার পরিসমাপ্তিতে ঈদকে যেন পূূর্ণ তৃপ্ততায় সাদরে গ্রহন করে ধর্মপ্রান মুসলিম সম্প্রদায়। আর সেই শিক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আরও সমৃদ্ধশালী হোক।