১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | সকাল ১১:২৫
ঈদে বাড়ি যেতে ভোগান্তি আরও বাড়বে শিমুলিয়া ঘাটে?
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৬ জুলাই, ২০২০, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)

পদ্মার তীব্র স্রোতের কারনে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটে সাধারণ যাতায়াতকারীদের ঈদে বাড়ি যেতে ভোগান্তি আরও বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শনিবার শিমুলিয়া ঘাট কতৃপক্ষ, যাত্রী-সাধারণের সাথে কথা হলে তারা এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

পদ্মার পানি বেড়ে শিমুলিয়া ঘাটের ৩ নং ভিআইপি ফেরির পল্টুনের অ্যাপ্রোচ সড়ক অর্ধেক তলিয়ে গেছে। যে কোন সময় পুরো সড়কটি তলিয়ে যেতে পারে। ছবি: আমার বিক্রমপুর।

কতৃপক্ষ বলছে, অন্যান্য বছর ঈদের সময় যাত্রী সেবার মান বাড়াতে ফেরি বাড়ানো হয় তবে পদ্মার অবস্থা প্রতিদিনই যেভাবে খারাপ হচ্ছে তাতে ঈদের আগে ফেরি সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হয় কি না সেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটে ১৬টি ফেরি চললেও বর্তমানে পদ্মা নদীর স্রোতের কারনে ৩টি রো রো, ৪টি কে টাইপ, ও ২টি মিডিয়ার সর্বমোট ৯টি ফেরি চলছে। গত ঈদে লঞ্চ-সি বোট চলাচল বন্ধ থাকলেও এবার চালু রয়েছে।

পদ্মার তীব্র স্রোতে যেখানে স্বাভাবিক ফেরি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সেখানে প্রবল স্রোতের মধ্যেই প্রচন্ড ঝুকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ফিটনেসবিহীন এই লঞ্চগুলি প্রতিদিনই শিমুলিয়া থেকে কাঠালবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। ছবি: আমার বিক্রমপুর।

এদিকে, ঈদের মাত্র ৫ দিন বাকি থাকলেও আজ শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের কোন চাপই দেখা যায়নি। তবে কাঠালবাড়ি থেকে কোরবানির পশুভর্তি ট্রাক মুন্সিগঞ্জের দিকে আসতে দেখা গেছে। ২-৩ দিন পরই পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে বলে ঘাট কতৃপক্ষ বলছেন। তারা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবদুন নূর ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে ঈদের সময় ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকার সম্ভাবনা নেই। সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে চালু রাখার।

তিনি জানান, ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ডুবোচর সনাক্ত করে ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান আছে। স্রোত কমে গেলে ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ঘাটে প্রতিদিন দুইপার মিলিয়ে ১৪০০-১৫০০ ছোট-বড় গাড়ি বর্তমানে পার হচ্ছে। যেটা স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এমন অবস্থায় ঈদের আগে গাড়ির চাপ বাড়লে ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক না করা গেলে ভোগান্তি বাড়বে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, যদি পানির তীব্রতা না কমে তবে এখানে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। বন্যার পানির কারণে গাড়ি পাকিং নিয়েও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এতে ঘাটে সৃষ্টি হতে পারে যানজট।

মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার গতকাল ঈদুল আযহা উপলক্ষে শিমুলিয়া ফেরিঘাট ব্যবস্থাপনায় বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভায় বলেছেন, ঈদে পদ্মায় কোনো প্রকার যাত্রীবাহী ট্রলার চরাচল করতে দেওয়া হবে না। স্রোতের কারণে এ সকল ট্রলার ডুবির ঝুঁকি থাকতে পারে। তাছাড়া ঈদের আগের ৫ দিন ও পরের ৩টি ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে পশুবাহী ও পচনশীল দ্রব্য এবং জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পার করা হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকেই বাস, লঞ্চ বা সিবোটে উঠতে দেওয়া হবে না।

error: দুঃখিত!