১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ৭:৩৭
অনুসন্ধান: ঝলক হ.ত্যার জেরেই নির্বাচনের দিন মিরকাদিমে খুন হন ঝিল্লুর!
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১১ জানুয়ারি ২০২৪, শিহাব আহমেদ (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে প্রায় ১৮ মাস আগে কাউন্সিলর পুত্র সম্রাট ঝলক হ.ত্যাকান্ডের জের ধরেই ৪দিন আগে ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের দিন খু.ন হন শ্রমিক লীগ নেতা ঝিল্লুর রহমান। ঝলক হ.ত্যাকান্ডে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি ছিলেন নিহত ঝিল্লু। ঝলক পরিবারের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের জের ধরেই নির্বাচনের দিন এই ঘটনা ঘটে মিরকাদিমে।

তথ্য বলছে, মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন মিয়ার পুত্র সম্রাট ঝলক শিকদার (২২) মিরকাদিম লঞ্চঘাট এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাতে খুন হন ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল। সেসময় এ ঘটনা সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

পরদিন এ ঘটনায় ঝলকের বাবা লিটন মিয়া শ্রমিক লীগ নেতা ঝিল্লুর রহমানকে প্রধান আসামি করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়।

র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঝলক হত্যার প্রধান আসামি ঝিল্লুর রহমান (৪২) ও মো. সুমন গোয়ালকে (৪০) নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের মুড়াপাড়া এলাকা গ্রেপ্তার করে।

বেশ কিছুদিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন ঝিল্লুর। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসকে সমর্থন করে নির্বাচনের মাঠে অংশ নেন। অন্যদিকে ঝলকের পিতা কাউন্সিলর লিটন মিয়া কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন (৭ জানুয়ারি) টেঙ্গর এলাকায় ভোটকেন্দ্রের (রিকাবীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র) পাশে ছুরিকাঘাতে খুন হন ঝিল্লুর।

এ ঘটনায় বুধবার (১০ জানুয়ারি) নির্বাচনে জয়ী কাঁচি প্রতীকের সমর্থক মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন, নিহত ঝলকের বাবা ও ঝলক হ.ত্যা মামলার বাদী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটনসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ঝিল্লুর স্ত্রী রেহানা বেগম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নির্বাচনের দিন টেঙ্গর এলাকায় ভোটকেন্দ্র থেকে নৌকার এজেন্টদের বের করে দিয়ে দখলের চেষ্টা করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা। খবর পেয়ে টেঙ্গর এলাকার ভোটার স্লিপ বিতরণের টেবিলের সামনে উপস্থিত হলে ঝিল্লুরকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলর লিটন মিয়াসহ অন্য আসামিরা কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তার উপর ফেলে রেখে মুহুর্তেই সটকে পড়েন।

স্থানীয়রা বলছেন, পুরোনো ক্ষোভের জেরকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে বিরোধিতাকে সামনে এনে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়।

মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, মামলার বিষয়ে তদন্ত করে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, কাউন্সিলর পুত্র সম্রাট ঝলক (২২) মিরকাদিমের নৈদিঘিরপাথর এলাকার বাসিন্দা ও সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বিবিএ’র দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্যদিকে ঝিল্লুর রহমানও (৪২) একই এলাকার বাসিন্দা ও পৌর শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি ছিলেন।

error: দুঃখিত!