মুন্সিগঞ্জ, ৭ আগষ্ট, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ১৭টি ফেরির মধ্যে চলাচল করছে আটটি ফেরি।
প্রায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (৭ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ফেরি চালু হয়।
একদিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে দুই নম্বর ফেরিঘাটটিও। মোট চারটি ঘাটের মধ্যে তিন ও চার নম্বরটি নদীতে বিলীন হওয়ায় দু’টি ফেরিঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে, সকাল থেকে বিলীন হয়ে যাওয়া চার নম্বর ও তিন নম্বর ফেরিঘাটে ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ঈদের ছুটি কাটানো শেষে ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের উভয়মুখী ভিড় লক্ষ্য করা গেছে শিমুলিয়া ঘাটে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিসি’র ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, শুক্রবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটের মোট চারটি ফেরিঘাটের মধ্যে দু’টি ফেরিঘাট সচল আছে। তিনটি বড় ফেরি ও পাঁচটি ছোট ফেরি চলাচল করছে নৌরুটে। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। দিনের বেলা ফেরি চললেও রাতে ফেরি বন্ধ রাখা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সকাল ৮টা থেকে দুই নম্বর ফেরিঘাট চালু হওয়ার পর যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে তিনটি রো রো ফেরি চলাচল করছে। তবে তীব্র স্রোতে চলতে অসুবিধা হওয়ায় তুলনামূলক কম সংখ্যক যানবাহন পরিবহন করছে বড় ফেরিগুলো।
বিআইডাব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারিফ আহম্মেদ জানান, ভাঙন প্রতিরোধে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। পুরো শিমুলিয়া ঘাটটি ২৯.৩ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এর মধ্যে বিলীন হয়েছে প্রায় সাত একর জায়গা।