মুন্সিগঞ্জ, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কাজের পারিশ্রমিকের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যের মারধরে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী শ্রমিকের অকাল গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মস্তফাগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতনের শিকার নারী শ্রমিকের নাম সুমা বেগম।
সে শেরপুর জেলার সাপমারি গ্রামের সুলতানের স্ত্রী। এই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী সুলতান বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ নারী শ্রমিক সুমা ইউপি সদস্য হাসি বেগমের কাছে তার পাওনা ৪০০ টাকা চাইছেন। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করছিলেন। গত মঙ্গলবার ইউপি সদস্য হাসি বেগমের বাড়ির সামনে দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় নারী শ্রমিক সুমাকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করেন হাসি। সুমা প্রতিবাদ করলে তাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ইউপি সদস্য হাসি বেগম তার স্বামী পানু খান (৫৫) ও ছেলে রনি খান (২৫) বেধড়ক মারধর করে।
মারধরে নারী শ্রমিক সুমা বেগমের ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সন্তানের অকাল গর্ভপাত হয়। বর্তমানে সুমা বেগম সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আঞ্জুমান আরা বলছেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি বলতে পারবো না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাইফুল এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হাসি বেগম ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, সুমা আমার কাজ করেনি, কাজ করেছে তার স্বামী। তাই সুমার টাকা আমি দেইনি। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়েছে। তবে মারধর ও গর্ভপাত হওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজদিখান থানার ওসি বোরহান উদ্দিন কোন তথ্য দিতে পারেননি। তিনি বলছেন, এরকম কোন অভিযোগের কথা তার মনে পড়ছে না।
একই থানার ওসি (তদন্ত) আজগর হোসেন ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে।